ডেস্ক রিপোর্ট
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা এমন অবান্তর অভিযোগ তুলে এখন থেকেই বিএনপি ও তার দোসররা নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মূলগ্রাম ইউনিয়নের চারগাছ কলেজ মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক একথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতকে দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ায় ছাত্ররা আন্দোলন করেছে। তারা নিরাপদ সড়ক পরিবহন আইনের দাবি তুলেছে। তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে আমরা সমর্থন দিয়েছি এবং দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সড়ক পরিবহন আইন মন্ত্রীসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা ছাত্রদের ওই আন্দোলনে উত্তাপ দিয়ে সরকার পতন করার অপচেষ্টা করেছিলো।’
বঙ্গবন্ধু বিশাল হৃদয়ের মানুষ ছিলেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, “আমার বাবা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ষাটের দশকে এক মামলায় বিচারক বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ফৌজদারী অপরাধের ফিরিস্তি গেয়েছেন। আমার বাবা তাঁকে শেখালেন ওই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে। বিচারক আবার তাঁকে জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, যা করেছি বেশ করেছি। আমার বাংলার মানুষের জন্য আমি আরো করবো। এই হলো বঙ্গবন্ধু। কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি।”
বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও কোনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করবেন না উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশকে একটি উন্নত জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচয় করিয়েছেন। ইনশাআল্লাহ তাঁর নেতৃত্বেই ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর একটি উন্নত রাষ্ট্র।’
মূলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মো.শাহ আলমের সভাপতিত্বে শোক সভায় উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক, আওয়ামী লীগের যুগ্ন-আহবায়ক এমজি হাক্কানী, কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, মূলগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মো.মাইনুল ইসলাম, কসবা পৌর কাউন্সিলর আবু জাহের, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মনির হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমন।