ডেস্ক রিপোর্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছেন, এ সরকারের শেষ সময় এসে গেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে দ্রুত পরিবর্তন ঘটবে। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত‘শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক নির্যাতন এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা কেন?’ শীর্ষক মতবিনিময়সভায় মওদুদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমি অনেক দিন আগে একটি কথা বলেছিলাম- অতিদ্রুত রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটবে। কখন, কোথায়, কী ঘটবে আমরা কেউ তা জানি না। এটুকু জানি এই সরকারের শেষ সময় এসে গেছে। দ্রুত বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন ঘটবে।
মওদুদ বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি দেখে মনে হয় দেশে কোনো সরকার নেই। পুলিশ আছে, র্যাব আছে, কিন্তু কোনো সরকার নেই। রাজধানীতে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা করা হল, কারা হামলা করেছে আমরা সবাই জানি কিন্তু কোনো গ্রেফতার নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮০০ কোটি টাকা চলে গেল। স্বর্ণ চুরি হল। কয়লা চুরি হল। পাথর চুরি হল। কঠিন শিলা চুরি হল কিন্তু একজনকে গ্রেফতার করা হয়নি। দেশে সরকার থাকলে এগুলো হওয়ার কথা নয়, বলেন মওদুদ।
বিএনপির এ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী কারাগারে, সবাই মামলায় জর্জরিত। বিএনপিকে নিঃশেষ করার যেই পরিকল্পনা, তাতে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। কিন্তু তাতে কি দেশের কোনো উন্নতি হয়েছে? প্রকৃতির যে আইন তা নিজস্ব গতিতে চলে। এর একটি দৃষ্টান্ত কোটা আন্দোলন এবং আরেকটি হল শিক্ষার্থীদের হত্যার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন।
মওদুদ বলেন, এগুলো কি আমরা কখনও কল্পনা করতে পেরেছিলাম? আজকে এই ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসবে এটা কি আমরা কখনও ভেবেছিলাম? এটাকেই বলে প্রকৃতির আইন।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনার সরকারের তল্পিবাহক ব্যক্তি। কিন্তু বিবেকের তাড়নায় একটি সত্য কথা বলে ফেলেছেন যে আগামী নির্বাচনে অনিয়ম যে হবে না তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তার এ বক্তব্যের পরেই অন্যান্য কমিশনাররা দ্বিমত পোষণ করেছেন। এর পর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আর নিজের পদে থাকার কোনো অধিকার থাকতে পারে না। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করি।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কেন্দ্র করে অনেক সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু এর পর শহিদুল আলমের ওপর যেই অত্যাচার হয়েছে এটি অকল্পনীয়। সরকার একদম বেপরোয়া হয়ে গেছে। সরকার বুঝতে পেরেছে জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আর নেই।
তিনি বলেন, জনগণ থেকে তারা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ উপলব্ধি আজকে তাদের মধ্যে এসেছে বলেই তারা হিংস্র ও নিষ্ঠুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ২২ জন ছাত্রকে রিমান্ডে পাঠানোর পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে।