ভোগাই নদীতে বাঁশের সাঁকোয় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

কলমাকান্দা (প্রতিনিধি) নেত্রকোনা

প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই বাঁশের সেতু পার হচ্ছেন এলাকাবাসী

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের ভোগাই নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের একটি সাঁকো দিয়ে ৫-৬ টি গ্রামের শতশত মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ফলে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা।

রোববার দুপুরে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের উজিয়াখালী মাদ্রাসা সংলগ্ন ভোগাই নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের একটি সাঁকো দিয়ে আশপাশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা বাঁশের ওই সাঁকো দিয়ে স্কুল-কলেজে যাতায়াতকালে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে আর এলাকার অসুস্থ লোকজন ওই ভাঙা সাঁকোতে ওঠে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

universel cardiac hospital

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক যুগ ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। প্রতিদিন এ পথে রানীগাঁও, চামারজানী, আটখলা, সৈয়দপুর ও ভাবনীকোনা গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

ভুক্তভোগী মো. আব্দুল আলী (৬০) বলেন, ওই সাঁকো দিয়ে হেঁটে যেতে আমার মত বৃদ্ধ মানুষের খুবই কষ্ট হয়।

ভাবনীকোনা গ্রামের মো. রাজাহান বলেন, নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোটে পাশ করার পর সেই প্রতিশ্রুতি আর মনে থাকে না।

৯ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, বাঁশের সাঁকোর স্থলে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা হলে শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত ও স্থানীয় কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহণসহ চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি সহজতর হবে।

প্রতিভা এম বিদ্যানিকেতন এন্ড হাই স্কুলের পরিচালক খাইরুল কবীর বলেন, প্রতিদিন বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী ওই ভাঙা সাঁকো দিয়ে জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে যাওয়া-আসা করছে। এখানে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ করা হলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ৫-৬টি গ্রামের লোকজনের ভোগান্তির অবসান হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৈলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুবেল ভূঁইয়া বলেন, প্রায় ২ বছর আগে ভোগাই নদীতে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে