চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট দুই দিন নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল, টেকনিকাল এন্ড ইকনমিক কোঅপারেশন (বিমসটেক) এর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই সম্মেলনের সাইডলাইনে বৈঠক করবেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
এটা হবে এক বছরের মধ্যে দুই প্রতিবেশী দেশের সরকার প্রধানের মধ্যে তৃতীয় বৈঠক। এর আগে গত এপ্রিলে লন্ডনে কমনওয়েলথ শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে এবং গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তি নিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনের পর দুই নেতার মধ্যে বৈঠক হয়।
কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ সদস্য বাকি পাঁচ দেশ নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার এবং থাইল্যান্ডের সরকার প্রধানরা থাকবেন। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বিমস্টেক সম্মেলনের সাইডলাইনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর একটি বৈঠকের আয়োজনও করা হচ্ছে। এবারের বিমসেটক সম্মেলনে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি ও দারিদ্র্য দূরীকরণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের ভোটের আগে এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে আঞ্চলিক রাজনীতিও। ভারতে আসামের চলতি এনআরসি বিতর্কের আঁচ ঢাকাতেও পড়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এই স্পর্শকাতরতার দিকটি অবশ্যই ভারত বিবেচনার মধ্যে রাখছে। দিল্লির তরফ থেকে এমন কিছু করা হবে না, যাতে সে দেশে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়।
সূত্রমতে, আসন্ন বৈঠকে আসামের এনআরসি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেই হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সহযোগিতার কথা জানাবেন নরেন্দ্র মোদী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ নিয়েও মোদী-হাসিনার বৈঠকে আলোচনা হবে।