একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নড়াইলে করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ছয়মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও এ কে এম এহসানুর রহমান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কামরুল ইসলাম খান আসলাম।
আইনজীবী এহসানুর রহমান জানান, স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নড়াইলে করা মানহানি মামলায় হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিনের আবেদন করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তিনি জানান, এর আগে গত ৫ আগস্ট নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। তারপর হাইকোর্টে আসেন তারা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়।
মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে খবরটি পড়ে ক্ষুব্ধ হন। পরে তিনি বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন।
আদালত ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।