তৈরি পোশাক খাতের অর্থায়নে ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি প্রয়োজন জানিয়ে বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫৩ শতাংশ ব্যাংকার মনে করেন রপ্তানিকারকরা সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন না করার কারণে অর্থায়নে জটিলতা তৈরি হয়।
রবিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনস ইন আরএমজি বাই ব্যাংকস: রিস্কস অ্যান্ড মিটিগেশন টেকনিকস’ শীর্ষক কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী। তিনি ব্যাংকিং কার্যক্রমে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য সেবা দক্ষতা এবং কমপ্ল্যায়েন্স পুরোপুরি পরিপালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মূল প্রবন্ধে বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মোহাম্মাদ আহসান হাবীব বলেন, গ্রাহকদের ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য সেবার মান আগের চেয়ে ভালো। তবে পুরোপুরি কমপ্ল্যায়েন্স মানার বিষয়টি বিশ্বব্যাপী উদ্বিগ্নের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তৈরি পোশাক খাতের ওপর। এজন্য সংশ্লিষ্টদের বিষয়টি নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তৈরি পোশাক খাতের ঝুঁকির দিকগুলোর বিভিন্ন দিক মূল প্রবন্ধে তুলে ধরা হয়।
বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড.বরকত-এ-খোদা বলেন, ব্যাংক খাতের রপ্তানিকেন্দ্রীক জালিয়াতি কমাতে ব্যাংকারদের প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে বিজিএমইএ-এর মতো বিআইবিএমকেও নতুন কোর্স চালুর সুযোগ রয়েছে। পোশাক খাতের রপ্তানি সংক্রান্ত প্রক্রিয়া পুরোপুরি অটোমেশন হলে দীর্ঘমেয়াদী সুফল পাওয়া যাবে।
এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাংককে উদ্যোগ নিয়ে নজরদারি করতে হবে। এতে কোনো অসঙ্গতি থাকলে তা দূর সম্ভব হবে।
বিকেএমইএ দ্বিতীয় সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ৬৫ শতাংশ রপ্তানি নির্দিষ্ট সময়ে করা সম্ভব হয় না নানা কারণে। এটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন পোশাক খাতের দক্ষ শ্রমিক সংকটের কারণে এ দেরি হয়।
সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ব্যাংকার আরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। আবার গ্রাহকদেরও সচেতন করার উদ্যোগ নিতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারে।