পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। একই সঙ্গে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী কারাবন্দি ২২ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি জানান।
রিজভী বলেন, কোরবানি ঈদের প্রাক্কালে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি মেলেনি। অন্যায় সাজায় তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।
আরেকটি একতরফা নির্বাচন আয়োজনের জন্য শেখ হাসিনার একমাত্র প্রতিপক্ষ হিসেবে খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
‘আইনি প্রক্রিয়ার নামে আওয়ামী সরকারি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার ওপর নামিয়ে আনা হয়েছে জুলুম ও অত্যাচার। অবৈধ সরকার নিজেদের নিরাপদ রাখতেই এ জুলুম ও অত্যাচার। তারা বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বিপদ মনে করে।’
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখে একতরফা নির্বাচন হবে না। শূন্য কেন্দ্রে ভোটারবিহীন ইলেকশনের নামে সিলেকশন হতে দেয়া হবে না। অবিলম্বে বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার করে ঈদের আগেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী ২২ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, আন্দোলন দমাতে নির্বিচারে শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছে; রিমান্ডে নিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হচ্ছে। তাদের জামিন দেয়া হচ্ছে না।
‘অথচ প্রধানমন্ত্রী দুদিন আগে বলেছেন- শিক্ষার্থীদের আন্দোলন তাদের পথ দেখিয়েছে। একদিকে প্রশংসা আরেক দিকে বর্বোরচিত দমন-পীড়ন এক অদ্ভুত দ্বিচারি সরকার। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে প্রতারণা করতেও এরা বেপরোয়া। ন্যায্য আন্দোলন সরকারের কাছে অপরাধ।’
রিজভী বলেন, গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত, ঈদের উৎসব থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।