মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ছাত্রলীগ করতাম তখন রাজধানীর ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল এবং তাদের নাম পর্যন্ত আমরা জানতাম। কিন্তু বর্তমানের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চেনা তো দূরের কথা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকেও চিনতে পারে না।
তিনি আরো বলেন- ছাত্রলীগ এখন ছাত্রদের সঙ্গে নেই। এটা কাম্য হতে পারে না। নসরুল হামিদ ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘পূর্বে বাংলাদেশের মানুষ ছাত্রলীগের কথা শুনার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে প্রোগ্রামে আসতেন। কিন্তু এখন মানুষের মধ্যে সেই প্রবণতা নেই। মানুষের মাঝে আবার সেই প্রবণতা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব ছাত্রলীগকেই নিতে হবে। নিজেদের থেকেই প্রথমে পরিবর্তন শুরু করতে হবে, তারপর মানুষের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘প্রতিটি অভ্যুত্থানের পেছনে ক্ষমতার পরিবর্তন লুকিয়ে থাকে। ১৫ আগস্ট কোনো সাধারণ অভ্যুত্থান ছিলনা, এটা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বদলের অভ্যুত্থান ছিল। এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বরণ করার সাথে সাথে স্বাধীনতার পক্ষে যারা কথা বলেছেন তাদেরকেও স্বরণ করা প্রয়োজন।’
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।