জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ তাজুল ইসলাম চৌধুরী আর নেই। সোমবার রাত ১২টার কিছু আগে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তাজুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।
তাজুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায় ভোগা তাজুল ইসলামকে গত রবিবার দুপুরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাতবারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।
তারা এক শোকবার্তায় বলেন, তাজুল ইসলাম চৌধুরীর মৃত্যুতে দেশ একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবীদকে হারালো।
তাজুল ইসলামের মৃত্যু সংবাদে রাতেই ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে যান পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ, এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, বিরোধীদলীয় হুইপ নুরুল ইসলাম ওমর, শওকত চৌধুরীসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বাদ আসর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন।
বাংলাদেশ