বঙ্গবন্ধু জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তাঁর রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু করেছেন এবং তাঁর কর্মকাণ্ড দিয়ে তিনি জনগণের আশা- আকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণও করেছেন। তিনি বলেন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা বিশ্ব দরবারে উড়ুক যারা চাই না, তারাই ১৫ আগস্টে কাল রাতের জন্ম দিয়েছে।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৮ আলোচনা সভা ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রতিটি ধাপে পিতার আদর্শ ও লক্ষে্র ছাপ না থাকলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র গঠনের যে মৌলিক আকাঙ্ক্ষা তা থেকে পিছিয়ে পরব। তাই আমাদের আটপৌরে জীবনে পিতার উপস্থিতি অনিবার্য। কেননা বঙ্গবন্ধু যেমন আবহমান বাংলার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন তা এখনো বর্তমান এবং অনাদিকাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির মধ্যস্থলে অবস্থান করবেন। তাঁর পক্ষে বিপক্ষে যাঁরাই থাকুন না কেন, তাঁকে ঘিরেই বাংলার রাজনীতি ঘূর্ণায়মান থাকবে। আমাদের মনে রাখতে হবে- মুজিব হচ্ছেন বাংলার আগামী। তাঁকে ও তাঁর আদর্শকে ধারণ করে এগুতে পারলেই আমাদের রাজনীতি জনগণের পক্ষে থাকবে।
সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক জনাব রেজাওয়ানুর রহমান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জনাব আনোয়ার হোসেন খান, বিপিএম, পিপিএম, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মিসেস নায়ার কবির, মেয়র, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা, জনাব আল মামুন সরকার, সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ, জনাব জাহাঙ্গীর আলম, চেয়ারম্যান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ।
এর আগে সকালে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস-২০১৮ উপলক্ষে মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয়, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, শোক র্যালি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ।