মার্কিন পণ্যের ওপর এবার তুরস্ক পাল্টা শুল্কারোপের ঘোষণা দিয়েছে । দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই তুরস্ক এ ঘোষণা দিয়েছে।
বুধবার প্রেসিডেন্ট দফতরের এক নির্দেশনায় জানানো হয়, কোমলপানীয়, সিগারেট ও মোটরগাড়িসহ একাধিক মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করেছে দেশটি। খবর: ডেইলি সাবাহ।
এতে বলা হয়, তুরস্কে রফতানি করা এসব মার্কিন পণ্যের ওপর এখন থেকে শতভাগ শুল্ক দিতে হবে। এসব পণ্যের মধ্যে আছে মোটরগাড়ি, চাল, কোমলপানীয় ও তামাকজাতীয় পণ্যদ্রব্য। এছাড়া সানক্রিমসহ কিছু কসমেটিকসের ওপরও এ শুল্ক আরোপ করা হয়।
দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত উকতাই এক টুইটার বার্তায় জানান, আমাদের অর্থনীতির ওপরে মার্কিন প্রশাসনের আঘাতের জবাব দিতে তাদের কিছু পণ্যের ওপর আমরা শুল্ক বসিয়েছি।
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী রুশার পেকান বুধবার জানান, মার্কিন পণ্যের ওপর ৫৫৩ মিলিয়ন ডলারের এ শুল্ক বসানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২২টি পণ্য আমদানিতে দ্বিগুণ শুল্ক দিতে হবে।
সাম্প্রতিককালে যুক্তরাষ্ট্র আর তুরস্কের মধ্যে যে তিক্ত কূটনৈতিক টানাপড়েন শুরু হয়েছে, তার কেন্দ্রে রয়েছেন মাকির্ন যাজক অ্যান্ড্রু ব্রনসনের। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনেছে আঙ্কারা।
ব্রনসনকে মুক্তি না দেয়ায় সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তুরস্কের বিচার এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে হোয়াইট হাউজ। এরপর তুরস্ক থেকে আমদানি করা স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শুল্ক দ্বিগুণ করা হয়।
এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইটে লিখেছেন, ‘তুরস্কের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের সম্পর্ক ততটা ভালো নয়।’
গত সোমবারই ট্রাম্প একটি প্রতিরক্ষা বিলে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে ১০০টি সর্বাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান ন্যাটো সদস্য তুরস্কের কাছে হস্তান্তর বিলম্বিত হবে।
এই বিতণ্ডা এখন পুরোমাত্রার একটি কূটনৈতিক সংকটে পরিণত হয়েছে। এর আগে ১৯৭৪ এবং ১৯৭৮ সালে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭৪ সালে তুরস্ক সাইপ্রাসে অভিযান চালিয়েছিল।
সাম্প্রতিক এই নিষেধাজ্ঞার পর তুরস্কের লিরার মূল্যমান ২০ শতাংশ পড়ে গেছে। বিনিয়োগকারীরা বিক্রি বাড়িয়ে দেয়ায় আরও কয়েকটি উদীয়মান অর্থনীতির মুদ্রার মানও কমেছে।