বাসচাপায় রাজধানী শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর নিরাপদ সড়কসহ কয়েকটি দাবির আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানির অভিযোগে ৫১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৯৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
২৯ জুলাই আন্দোলন শুরুর পর থেকে গত শনিবার পর্যন্ত তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিএমপি নিউজের খবরে বলা হয়েছে। ডিএমপি নিউজে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে দণ্ডবিধি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা ৪৩ মামলায় ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ আন্দোলনে নানাভাবে গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে তৎপর রয়েছে পুলিশ। আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে রমনা বিভাগে ১৪ মামলায় ৩১ জন গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে ১০টি। ১৪ মামলার মধ্যে ১৩টির তদন্ত করছে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ এবং একটি মামলা তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। লালবাগ বিভাগে ১ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওয়ারী বিভাগে মোট মামলা হয়েছে দুটি। অজ্ঞাতনামা ৩৫০-৪৫০ জনকে আসামি করে করা দুই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে।
এ বিষয়ে মতিঝিল বিভাগে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তেজগাঁও বিভাগের দুই মামলায় ৬ আসামির মধ্যে ২ জন এজাহারভুক্ত আসামিসহ সন্দেহভাজন আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মিরপুর বিভাগের মিরপুর মডেল থানায় বিইউবিটি ইউনিভার্সিটি, কমার্স কলেজসহ অন্যান্য কলেজের অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জন ছাত্র-শিক্ষককে আসামি করে ১টি, অজ্ঞাতনামা ৫০-৬০ জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় ১টি এবং ৯৬ জনকে আসামি করে আরও ৩টিসহ মোট ৫টি মামলা হয়েছে।
গুলশান বিভাগে অজ্ঞাতনামা ২০০০-২৪৫০ জনকে আসামি করে ৭টি এবং ৩১ জনকে আসামি করে আরও ২টি মামলাসহ মোট ৯টি মামলা হয়েছে। ৯ মামলায় ২৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তরা বিভাগে অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে ৩টি এবং ১১৩ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ১টিসহ মোট ৪টি মামলা হয়েছে। মামলায় ৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
এ ছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে ২৯ জনকে আসামি করে করা মোট ৮টি মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৮টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলা ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ, ১টি ডিবি পুলিশ এবং একটি থানা-পুলিশ তদন্ত করছে।