রাজনীতিকে সরকার সংঘাতময় করে তুলছে : রিজভী

 ডেস্ক রিপোর্ট

সরকার রাজনীতিকে সংঘাতময় করে তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘অবৈধ সরকার দেশের রাজনীতিকে প্রতিহিংসাপরায়ণ ও সংঘাতময় করে তুলেছে। এজন্য আইনের অপপ্রয়োগ করে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে উম্মাদ হয়ে পড়েছে।’

বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। সরকারের অন্যায় ও জুলুমের শিকার হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা সব মামলা প্রত্যাহার করে ঈদের আগেই খালেদার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি জানান। রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে সব অধিকার থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। এমনকি অসুস্থ নেত্রীকে সুচিকিৎসা না দিয়ে তার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সামাজিক গণমাধ্যমে উস্কানি ও সহিংসতার মিথ্যা অভিযোগে ৫১টি মামলায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে ওই মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে। এই কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আন্দোলন বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তারা মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সমাজের অগ্রগণ্য মানুষরাও বিম্মিত হয়েছে। তারা যা পারেনি শিশু-কিশোররা চোখে আঙুল দিয়ে সেটা করে দেখিয়েছে।’ রিজভী বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে অভিভাবকরা শঙ্কিত ও ভীত। আটক ও জুলুমের করালগ্রাস থেকে ছাত্রছাত্রী কেউ রেহাই পাচ্ছে না। গোয়েন্দা পুলিশ একটার পর একটা ছাত্রী আটকের লোমহর্ষক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।

এই সব ঘটনায় জাতির সম্ভ্রম ধুলায় লুটিয়ে গেলেও সরকারের চণ্ডমূর্তির কোনও পরিবর্তন হয়নি।’ বিএনপি নেতা বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন দমাতে সরকার শাসনযন্ত্রের যে দমন ক্ষমতা কাজে লাগালেন, তাতে কিছু বেপরোয়া চালকই অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হলেন। আর সেই উৎসাহের বশঃবর্তী হয়ে সড়ক-মহাসড়কে বেপরোয়া গাড়ি চলা অব্যাহতই আছে। পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘায়িত হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে