করলা দেখলেই খাবার টেবিলে অনেকের মুখ কালো হয়ে যায়। কারন করলার স্বাদ তিতা। সব কিছুর মতো আমাদের নিত্য দিনের ডায়েটে এ তেতো করলা রাখা দরকার।
করলা শরীরের জন্য বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। এর তিতা যদি বেশি হয় তাহলে কমানো যাবে। কিছুক্ষণ লবন পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তিতা কমে যাবে। করলায় রয়েছে প্রচুর আয়রন। আর এ আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরীতে সাহায্য করে। আছে প্রচুর পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। যা আমাদের দাঁত ও হাড় গঠনে জরুরি। ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ও হার্ট ভালো রাখার জন্য পটাশিয়াম প্রয়োজন।
করলায় রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও চোখের সমস্যায় করলা উপকারি। ত্বক এবং চুল ভালো রাখতে করলা সহায়ক। এতে রয়েছে ভিটামিন “সি “।ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। যাদের কুষ্টকাঠিন্য রয়েছে ফাইবার সমৃদ্ধ করলা তাদের জন্য বেশ উপকারি।
ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য তিতা করলা আর্শিবাদ। সুগার কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চর্মজাতীয় ও কৃমি সমস্যায় করলা ভালো উপকারি। করলার পাতার রস বিভিন্ন রকমের ইনফেকশন থেকে শরীলকে সাহায্য করে। এ করলার রস ফাংগাল ইনফেকশন ও কঠিন সোরিয়াসিসের প্রতিরোধক। ডায়রিয়া বা কলেরার প্রথম পর্যায়ে করলার রস ভালো ফল দেয়।