ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ীর অবস্থা সঙ্কটজনক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জারি করা এক বিবৃতিতে এইমস জানিয়েছে, বাজপেয়ীর অবস্থা একই রকম সঙ্কটজনক। তাঁকে জীবনদায়ী ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে

বাজপেয়ীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতির খবর পেয়ে আজ সকাল থেকেই ভারতের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দিল্লিতে যান। কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও দিল্লি যাওয়ার কথা। দিন সকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে যান বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, লালকৃষ্ণ আডবাণী, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু। হাসপাতালে রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, শাহনওয়াজ হুসেন প্রমুখ

বুধবার রাতে চিকিত্সক আরতি ভিজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, “গত সপ্তাহ ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

বাজপেয়ীর শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়েই বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাজপেয়ীর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন তিনি। হাসপাতালে প্রায় ৫০ মিনিট মতো সময় কাটান মোদী

এইমসএর ডিরেক্টর চিকিত্সক রণদীপ গুলেরিয়ার তত্ত্বাবধানে বাজপেয়ীর চিকিত্সা চলছে। নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, গ্যাস্ট্রোএনটেরোলজি এবং পালমোনোলজি বিভাগের চিকিত্সকদের নিয়ে গঠিত একটি মেডিক্যাল টিম তাঁর শারীরিক অবস্থার সর্বক্ষণ নজর রাখছে

মোদী ছাড়াও বাজপেয়ীকে দেখতে যান ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল, হর্ষ বর্ধন এবং বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষি লেখি। গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানিও। কিডনি, মূত্রনালী এবং বুকে সংক্রমণের জন্য গত ১১ জুন এইমস ভর্তি হন বাজপেয়ী। হাসপাতাল সূত্রে সে দিন জানানো হয়েছিল, রুটিন চেক আপের জন্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ভর্তি করানো হয়েছে। বাজপেয়ীর ভর্তি হওয়ার খবর পেয়েই সে দিন সন্ধ্যায় এইমস দেখতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে আসেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ

দীর্ঘ দিন ধরেই বাজপেয়ীর একটি কিডনি অচল। ২০০৯ সালে স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে তাঁর স্মৃতিশক্তিও অনেকটাই লোপ পায়। 

১৯৯৬, ১৯৯৮, ১৯৯৯। তিনবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। প্রথম দফায় তেরো দিন, দ্বিতীয় দফায় তেরো মাস আর তৃতীয় দফায় পূর্ণ সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের দায়িত্বভার সামলেছেন তিনি

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে