পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। শুক্রবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্যদের ভোটে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। জাতীয় পরিষদের ১৭৬ জন সদস্যের ভোট পেয়েছেন ইমরান।
ইমরান খান কাল শনিবার দেশটির ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, সাবেক এই ক্রিকেট তারকার বিপরীতে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হন পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) প্রধান শাহবাজ শরিফ। জাতীয় পরিষদের ৯৬ জন সদস্যের ভোট পেয়েছেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটদানে বিরত ছিল তৃতীয় বৃহত্তম দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
গত জুলাই মাসে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে জয় পেলেও সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এ কারণে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হতে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর সাহায্য দরকার হয় ইমরানের।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাজনীতিতে প্রবেশের প্রায় দুই দশক পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান।
ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিষদে ভোটাভুটি শুরুর আগে ইমরান ও শাহবাজ শরিফ করমর্দন করেন। ভোটাভুটির প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণা দেন জাতীয় পরিষদের নতুন স্পিকার আসাদ কায়সার। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ইমরান খানকে ভোট দিতে চান, তাঁরা আমার ডান পাশের লবিতে চলে যান। আর যাঁরা শাহবাজ শরিফকে ভোট দিতে চান, তাঁরা আমার বাঁয়ে যান।’
স্থানীয় সময় বিকেলে এই ভোট শুরু হয়। শুরুতেই ভোট দেওয়া নিয়ে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এ সময় স্পিকার আসাদ কায়সার জাতীয় পরিষদের সদস্যদের সতর্ক করেন এবং নির্দেশ না মানলে বহিষ্কারের হুমকি দেন।
গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে ইমরানের দল পিটিআই ২৭২টির মধ্যে ১১৭টি আসন পায়। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে তাঁর দরকার ছিল ১৩৭ আসন।
নির্বাচনের আগে ‘নতুন পাকিস্তান’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার দিয়ে চমক তৈরি করেন ৬৫ বছর বয়সী ইমরান। বিশ্বকাপজয়ী এই ক্রিকেট তারকা দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছিলেন। তবে নিন্দুকেরা বলেন, দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান থেকে অনেকটাই সরে গেছেন ইমরান। এখন তাঁর দল পিটিআইয়েও অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিক আছেন।
পাকিস্তানে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে গত সোমবার শপথ নিয়েছেন ইমরান খান। এবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পালা।