গত বছর পিএসএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির হোতা পাকিস্তানের সাবেক ওপেনার নাসির জামশেদ ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষেও তিনি ক্রিকেট কিংবা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যাপারে অংশ নিতে পারবেন না।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম আসরে স্পট ফিক্সিং-সংক্রান্ত বিষয়ে জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ উঠেছিল নাসির জামশেদের বিরুদ্ধে। ঢাকার মিরপুর থানা-পুলিশ তাঁকে আটকও করেছিল। এরপর স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে বারবার জড়িয়েছে পাকিস্তানের সাবেক এ ওপেনারের নাম।
গত বছর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাঁকে সাময়িক নিষিদ্ধ করলেও পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিপক্ষে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে ১০ বছর নিষিদ্ধ হয়েছেন নাসির জামশেদ।
গত বছর পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ ওঠে জামশেদের বিপক্ষে। এর প্রেক্ষিতে স্বাধীন দুর্নীতি-দমন ট্রাইব্যুনাল গঠন করে পিসিবি। এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান ছিলেন বিচারপতি ফজল-ই-মিরান চৌহান এবং দুজন সদস্য সাবেক ক্রিকেটার আকিব জাভেদ ও অ্যাডভোকেট শাহজাইব মাসুদ।
পিসিবি যে সাতটি ধারায় আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিলে জামশেদের বিপক্ষে, তার মধ্যে পাঁচটিতেই আচরণ ভঙ্গের প্রমাণ পেয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
গত বছর পিএসএলে যে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি হয়েছিল জামশেদকে তার ‘নাটের গুরু’ বলেছেন পিসিবির আইনি উপদেষ্টা তফাজুল রিজভি জামশেদ।
ট্রাইব্যুনালের রায় সমন্ধে সংবাদমাধ্যমকে রিজভি বলেন, ‘নাসির জামশেদের বিপক্ষে পিসিবি একের অধিক অভিযোগ গঠন করেছিল এবং ট্রাইব্যুনালে তা প্রমাণ হওয়ায় তাকে ১০ বছর নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এই মেয়াদ শেষেও সে ক্রিকেট কিংবা ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবে না।’
পিএসএলের প্রথম দুটি টুর্নামেন্টে জামশেদ অংশ নেননি। আর গত বছর এই টুর্নামেন্টে স্পট ফিক্সিং বিতর্কের ধোঁয়া উড়েছে তাকে কেন্দ্র করেই। এই বিতর্কে সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করা শারজিল খান ও খালিদ লতিফ পাঁচ বছর করে নিষিদ্ধ হয়েছেন ।
এ ছাড়া পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ইরফান ১২ মাস এবং মোহাম্মদ নওয়াজকে দুই মাস নিষিদ্ধ করেছে ট্রাইব্যুনাল। পাকিস্তানের হয়ে ৪৮ ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলেছেন জামশেদ।