১১টি সিটিতে কোরবানীর পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারিত

বাসস, ঢাকা

কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নির্দিষ্টভাবে মোট ২ হাজার ৯ ৩৬ টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কোরবানীর পশু জবাই এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণকল্পে কর্মপরিকল্পনা ও প্রস্তুতি শীর্ষক এক পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
পবিত্র ঈদুল উল আজহা উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সারাদেশে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়।
এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন,‘নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানীর পশু জবাইয়ের বিষয়টি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা সত্বেও দেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ২ হাজার ৯৩৬ টি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। পশু কোরবানীর জন্য এ সংখ্যা যথেষ্ট। তারপরেও অনেকে যদি সেই জায়গায় না আসে সেক্ষেত্রে আমি মেয়রদের অনুরোধ করবো আপনারা যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা চালান। যাতে করে মানুষ নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করতে আসে। নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই করতে আসতেই হবে। আর কোন রকম খোলা স্থানে কোরবানী করাকে আমরা মোটেই উৎসাহিত করি না।’
অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ সাঈদ খোকন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভিসহ দেশের সকল সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্মুক্ত স্থানে পশু কোরবানী না করার বিষয়ে কোন আইন নাই। খোলা স্থানে কোরবানী করলে শাস্তিরও কোন নিয়ম নাই। আর ধর্মীয় বিষয়ে এসব জোর জবরদস্তি করতে গেলে মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে পাড়ায় পাড়ায় যথেষ্ট লোক নিয়োগ করে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানী নিশ্চিত করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন,কাউন্সিলরদের মাধ্যমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ সাঈদ খোকন বলেন, ‘নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানীর বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে। আমরা গতবছর নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। এ সময়ের মধ্যে কোরবানীর বর্জ্য পরিস্কার করতে হবে। সেটা আমরা করতে সক্ষম হয়েছিলাম। এবছরও আমরা সর্বোতভাবে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা আমাদের শহরকে পরিস্কার রাখতে সক্ষম হবো।’
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভি বলেন,‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা থাকে সেটা আমরা ফলো করার চেষ্টা করবো। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাদেরকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয় আমরা সেই নির্দেশ মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। আমরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে পশু কোরবানীর জন্য ১৮৩ টি স্থান নির্ধারণ করেছি।’

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে