বিআইডব্লউটিসি সূত্রে জানা গেছে, নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। তবে, গরুবোঝাই ট্রাক ও যাত্রী পরিবহন পারাপার স্বাভাবিক রাখতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ চালু আছে।
এদিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বাস, ট্রাক ও ছোটগাড়িসহ প্রায় চার শতাধিক যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় আছে। শনিবার সকাল আটটায় পাটুরিয়া ঘাটে এ যানজট দেখা যায়।
বিআইডব্লিউটিসির মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান জানান, আর দুটি ফেরি যুক্ত হবে। পাটুরিয়া টার্মিনালে ৪টি ঘাট ও দৌলতদিয়া টার্মিনালে ৬টি ঘাট চালু আছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে ফেরি পারাপারে সমস্যা হবে না।
ঈদে যাত্রী ভোগান্তি ও ঘাট এলাকাসহ মহাসড়কের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএসহ বিভিন্ন দপ্তর একাধিকবার সভা করেছে। নদীতে নিরাপত্তার জন্য নৌ-পুলিশ, ঘাট এলাকা ও সড়কে র্যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, সাদা পোশাকে পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিস থাকবে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত গাড়ির চাপে নদী পারের অপেক্ষা দীর্ঘ হচ্ছে। প্রাকৃতিক কোনো দূর্যোগ না হলে এবং সবগুলো ফেরি সচল থাকলে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও পশুবোঝাই যানবাহন পারাপারে কোনো সমস্যা হবে না।