পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপিত হবে বাইশ আগস্ট দু’হাজার আঠারো খৃষ্টাব্দে। মাসটি আগস্ট। বেদনা, শোক আর রোদনভরা এক মাস। এ মাসে কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবাররে (বিদেশে অবস্থানরত দু’কন্যা ব্যতীত) শাহাদৎ বরণ করেছিলেন কুচক্রি রাজনীতিক ও সামরিক – বেসামরিক আমলা চক্রের ষড়যন্ত্রের কারণে। ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সরকার।
খুনীচক্রের প্রধান মোশতাকের নেতৃত্বে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও পাকিস্তানী ভাবাদর্শের এক ঘৃণিত ও ষড়যন্ত্রকারী ক্লিক। আর এ মাসেই আমরা উদ্্যাপন করতে যাচ্ছি ত্যাগের মহিমায় উজ্জল ঈদ-উল-আযহা। নবী ইব্রাহীম যেমন করে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য প্রিয়তম পুত্রকে যবেহ করতে প্রস্তুত হয়েছিলেন, তেমনি বাংলাদেশ তার শ্রেষ্ঠতম সন্তানকে দেশপ্রেমের বেদীমূলে আহুতি দিয়েছিল।
অতএব, আসুন আমরা ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জল ঈদ-উল-আযহাকে এবার উদ্্যাপন করি আনন্দ নয়, বেদনা বিধূর এক শোকাতুর পরিবেশে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন আমাদের কোরবানী কবুল করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগষ্টের শহীদগণের আত্মার মাগফেরাত প্রদান করেন।
শোককে শক্তিতে পরিণত করে আমরা যেন জলে স্থলে অন্তরীক্ষে বাংলার বিজয় কেতন উড়িয়ে যেতে পারি, এই প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
সম্পাদক, মত ও পথ