জাপানের বিখ্যাত কোম্পানি মিতসুবিশি কর্পোরেশন বাংলাদেশের সামিট এলএনজি টার্মিনালের ২৫ শতাংশ মালিকানায় বিনিয়োগে সম্মত হয়েছে। সে নুযায়ী এফএসআরইউ টার্মিনাল বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে কোম্পানিটি। সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানীর বাকি ৭৫ শতাংশর মালিকানা সামিট কর্পোরেশনেরই থাকবে।
এই প্রকল্পের অধীনে সামিট এলএনজি কক্সবাজার জেলার মহেশখালি দ্বীপের উপকূল থেকে ৬ কিমি দূরে সমুদ্রে একটি এফএসআরইউ স্থাপন করবে যারাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার সরবরাহকৃত এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন করবে। টার্মিনালটির নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের শেষার্ধেশুরু হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে ২০১৯ সালের মার্চে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাবে। টার্মিনালের পরিকল্পিত এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন লক্ষ্যমাত্রাপ্রতি বছরে ৩.৫ মিলিয়ন টন (এমপিটিএ) ।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান জনগোষ্ঠী এবং ৬ শতাংশের বেশী বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদাও দ্রুত বাড়ছে। বর্তমানেদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আনুমানিক ৬০ শতাংশ জ্বালানি গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে।অন্যদিকে দেশের নিজস্ব গ্যাস মজুদ কমে আসছে।এই বাস্তবতায় জাতীয় জ্বালানি নীতিমালায় এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।বাংলাদেশ ২০১৮ সালেরমধ্যেই এলএনজি আমদানি শুরু করতে যাচ্ছে এবং ২০৩০ সাল নাগাদ আমদানির লক্ষ্যমাত্রা হবে প্রতি বছরে ১৭ মিলিয়ন টন (এমপিটিএ) ।
এলএনজি টার্মিনাল যা এফএসআরইউ ব্যবহার করে, সেগুলো প্রচলিত অনশোর টার্মিনাল থেকে অপেক্ষাকৃত কম খরচে এবং দ্রুত সময়ে স্থাপন করা যায়। এই কারনে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এলএনজি গ্রহণ করবার ক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যকর উপায় হিসেবে এলএনজি টার্মিনাল (যা এফএসআরইউ ব্যবহার করে) বেছে নিয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই ধরণের টার্মিনালের চাহিদা ভবিষ্যতে আরও বাড়বে।
এই প্রকল্পের পাশাপাশি সামিট এবং মিতসুবিশি বাংলাদেশের এলএনজির ভ্যালু চেইনের এলএনজি সরবরাহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে একত্রে কাজ করবে।