বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বাঙ্গালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় ও দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি অন্যায়ের কাছে কখনই মাথা নত করেননি। নানান ধরনের জেল-জুলুম এবং অত্যাচার সহ্য করে তিনি বাঙ্গালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত, শোষিত ও অধিকারবঞ্চিত মানুষের অনুপ্রেরণা ও মূর্তপ্রতীক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ আ,স,ম ফিরোজ এমপি এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো: আবদুর রব হাওলাদার।
তিনি আজ ঢাকার জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স চত্ত্বরে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন আয়োজিত “১৫-আগস্ট জাতীয় শোক দিবস-২০১৮” উপলক্ষে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্পীকার বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শৈশব থেকেই টুঙ্গিপাড়ার খোকা ছিলেন অকুতোভয়। বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলির হেলনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল পতাকা।
স্পীকার আরও বলেন, ঘাতকরা ১৯৭৫সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি- – ইনডেমনিটির মত কালো আইন করে ঘাতকদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘাতকদের বিচারে আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শকে জানার ও বুঝার জন্য সকলের প্রতি উদাত্ত্ব আহবান জানান।
পরে স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দোয়া মাহফিলে শরীক হন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয় আবাসিক কমপ্লেক্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি মাসুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।