ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়েই বিদেশে গচ্ছিত দেশের কালো টাকা ফেরত আনতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কালো টাকার সন্ধান পেতে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে গঠন করেছিলেন বিশেষ তদন্তকারী দল। এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে সেই একই পথে হাঁটলেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান।
শুক্রবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নিম্নকক্ষে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরই কালো টাকা নিয়ে হুঙ্কার ছাড়েন ইমরান।সাবেক এই ক্রিকেট তারকা পাকিস্তানের কালো টাকা উদ্ধারে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’কে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশকে যারা লুটছে, তাদের ছাড়ব না।
শনিবার সকালে ইসলামাবাদে দেশের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইমরান। দুর্নীতির মামলায় বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজ।
লন্ডনে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ক্রয় ও কর ফাঁকি দিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-পাচার এবং বিদেশে কোম্পানি খোলার দায়ে অভিযুক্ত নওয়াজকে গত বছর দেশটির আদালত প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন।
২০১৫ সালে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে নওয়াজের নাম আসার পর দেশটির আদালত তদন্ত শুরু করে। এই তদন্তে অবৈধ সম্পত্তির খোঁজ পাওয়ার পর দেশটির দুর্নীতিবিরোধী আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়।
পরে ১৩ জুলাই লন্ডন থেকে ফেরার পর নওয়াজ ও তার মেয়ে মরিয়ম নওয়াজকে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ব্যুরো (ন্যাব)।
অন্যদিকে, দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারিতে জড়িত ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ইমরান খান ১৯৯৬ সালে তার রাজনৈতিক দল পিটিআই গঠন করেন। ২০১৩ সাল থেকে দেশটির জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। বিভিন্ন সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটিতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান সাবেক এই ক্রিকেট তারকা।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেয়া প্রথম ভাষণে ইমরান খান বলেন, ‘যে বদলের আশায় পাকিস্তানের মানুষ এতদিন অপেক্ষা করছিলেন আমি তাই করব। আমাদের প্রত্যেককে কড়া দায়বদ্ধ থাকতে হবে। আমি কথা দিচ্ছি, পাকিস্তানের সমস্ত কালো টাকা ফেরত আনব। যারা একাজ করেছে তাদেরও ছাড়ব না।’