রংপুর থেকে এরশাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু

মত ও পথ প্রতিবেদক

ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, রংপুর-৩ আসনে আমি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করলাম। এই আসন থেকে আমি বরাবরই নির্বাচিত হয়ে এসেছি। এবারও আমি এই আসন থেকে নির্বাচন করব। আমি যেন মরার সময় গর্ব করে বলতে পারি। রংপুরের মানুষ আমাকে ভোট দিয়েছে। তাদের ভালোবাসা নিয়ে আমি কবরে যেতে চাই।

তিনি বলেন, বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনের মধ্যে শুধু পীরগঞ্জ ছেড়ে দিয়েছিলাম। এবারও আশা করি এই ২১টি আসনে আমরা জয়ী হব। আমরা রংপুরের সব কটি আসন এবার চাই।

শনিবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, বিএনপির ছিন্নভিন্ন অবস্থা। তারা নির্বাচনে আসবে কিনা সেটা বলতে পারব না। তারা আসতে পারে, নাও আসতে পারে। তবে আমরা নির্বাচন করব। যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে আমরা জোটবদ্ধভাবে করব, আর বিএনপি না আসলে ৩০০ আসনে এককভাবে করব।

এরশাদ বলেন, বাংলাদেশ শক্তিশালী রাজনৈতিক প্লাটফর্ম ছিল ৩টি। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি এবং বিএনপি। কিন্তু বিএনপির অবস্থা এখন খুব ভালো নেই। সেহেতু এখন দুটি প্লাটফর্ম আছে। একটা হলো আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয়টা হলো জাতীয় পার্টি। তাই বিএনপি নির্বাচনে আসলে জোটবদ্ধ নির্বাচন করবো। আর বিএনপি না আসলে এককভাবে আমরা ৩০০ আসনে নির্বাচন করবো।

আওয়ামী লীগ কোনো আন্দোলনকে দানা বাধতে দিবে না দাবি করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি গ্রেফতারদের মুক্তি চেয়েছিলাম। এখনও দেয়নি। আজও গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যপারে সরকারের ইচ্ছা কী- জানি না।

এরশাদ বলেন, তোমরা সবাই জানো আমি কোরবানির ঈদ এখানে করি। এবার আর একটা নতুন এডিশন। সেটা হলো আজ থেকে আমার নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলো রংপুর থেকে। আমার জন্মভূমি থেকে।

পরে তিনি রংপুরের কুকরুল উচ্চ বিদ্যালয়, সাহেবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, দর্শনা বাছিরন্নেছা স্কুল এন্ড কলেজ, সদ্যপুষ্করনী ইউনিয়নের মজিদা খাতুর ডিগ্রি কলেজ, মমিনপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দনপাট ইউনিয়নের শ্যামপুর ডিগ্রি কলেজ, হরিদেবপুর ইউনিয়নের হরিদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়, খলেয়া ইউনিয়নের গঞ্জিপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুস্থদের মাঝে মেজবান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। এসময় তিনি লাঙ্গলে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

এসময় এরশাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, মহাসচিব এবিএম রুহুম আমীন হওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু, মেজর (অব) খালেদ আখতার, রংপুর মহানগর সেক্রেটারি এসএম ইয়াসির, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, শাফিউল ইসলাম শাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আব্দুল বারী, জেলা যুব সংহতির সেক্রেটারি হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর ছাত্রসমাজ সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম ছোট প্রমুখ।

এর আগে ৫ দিনের সফরে এরশাদ হেলিকপ্টার যোগে রংপুর স্টেডিয়ামে নামেন। সেখান থেকে সার্কিট হাউজে যান। রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে তিনি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় শেষে ঈদের দ্বিতীয় দিন ঢাকা ফিরবেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে