পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভাষণে পরিবর্তনের অঙ্গীকার করলেন ইমরান খান। টেলিভিশনে প্রচারিত প্রথম ভাষণে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশটির আমূল সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি মানব সম্পদ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। খবর এএফপি’র।
এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দেয়া ভাষণে খান একটি ইসলামি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলতে তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির কথা বারবার উল্লেখ করেন।
তিনি শিশু যৌন হয়রানি বন্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো এমন কতগুলো বিষয় তুলে ধরেন যেসব প্রসঙ্গে দেশটির আগের প্রধানমন্ত্রীরা খুব কমই বলেছেন।
কারো নাম উল্লেখ না করে খান প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে পাকিস্তানের সম্পর্কোন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া গোলযোগপূর্ণ বেলুচিস্তান প্রদেশ ও আফগানিস্তানের সীমান্ত বরাবর বিভিন্ন উপজাতি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি করারও অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। কারণ শান্তি পুন:প্রতিষ্ঠা করা না পর্যন্ত পাকিস্তান উন্নতিলাভ করতে পারবে না।’
পাকিস্তানের সাবেক এ ক্রিকেটার আরো বলেন, ‘আমি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবো। এতে হয় দেশ বাঁচবে, না হয় দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেরা বাঁচবে।’
তিনি দেশের কর ব্যবস্থার উন্নতি করার কথা উল্লেখ করে এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় করার কথা বলেন। পাকিস্তানে এখনো কম লোকই তাদের কর প্রদান করে। তবে বিশেষ করে ধনীদের ওপর কিভাবে করের হার বাড়ানো যায় তার কোন ব্যাখ্যা তিনি দেননি।
উল্লেখ্য, খানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের দু’টি প্রতিষ্ঠিত দলের মধ্যে ক্ষমতার পালাবদলের ইতিহাসের অবসান ঘটালো।