আর মাত্র একদিন পর ঈদুল আজহা।কাঙ্ক্ষিত উৎসব। যে কারণে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ।
রোববার সকাল থেকে ট্রেন ও বাসে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে লঞ্চেও অতিরিক্ত ভিড় দেখা গেছে।
যাত্রীদের ভিড় সামলাতে চলছে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস। তবে বাড়তি চাপ থাকায় আজ শুধু ঢাকা-বরিশাল রুটে তিনটি স্পেশাল সার্ভিস ছেড়ে যাবে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিওটিএ) ও ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা নদীবন্দরের সহকারী পরিদর্শক মো. মামুন মত ও পথকে বলেন, ঈদযাত্রায় ভিড় বাড়ছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। অতিরিক্ত চাপ সামলাতে আমাদের কঠিন পরিশ্রম করতে হচ্ছে। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে ৬৩টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এখনো অপেক্ষমান রয়েছে ৩১টি। যাত্রী রেখে দ্রুত রাজধানীতে এসেছে ৮৭টি লঞ্চ।
স্পেশাল সার্ভিসের বিষয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য রুটে ভিড় তুলনামূলক কম থাকায় শুধু বরিশাল রুটে তিনটি স্পেশাল সার্ভিস ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে- পারাবাত-১২, সুরভী-১০ এবং অ্যাডভেঞ্চার-৯। তবে আগামীকাল উপচেপড়া ভিড় হবে। কারণ, কাল সরকারি অফিসের শেষ দিন।
দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের ঝুঁকিমুক্ত ও স্বাভাবিক সেবা নিশ্চিতে এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সংস্থাটি। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ১৬ আগস্ট থেকে স্পেশাল সার্ভিস চালু করেছে সরকারি স্টিমার। আজ বেসরকারি লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস চলছে। এখন থেকে ঢাকা থেকে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, হুলার হাট, বগাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নৌ-রুটে বেসরকারি লঞ্চ কোম্পানিগুলোর মালিক চাইলে স্পেশাল সার্ভিস চালাতে পারবেন।
নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার প্রদত্ত তথ্য মতে, এবারের ঈদে মোট ২১১টি সরকারি ও বেসরকারি লঞ্চ ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করবে। ঈদযাত্রাকে গতিশীল ও বাধাহীন করতে আগামী ১৫ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ১০ দিন বালুবাহী সব নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। লঞ্চগুলো যাতে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য টার্মিনালগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী ও ঘাটের নিরাপত্তায় কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর স্পেশাল টহল, মেরিন ক্যাডেট, স্কাউটস ও গার্লস গাইডের সদস্যরা কাজ করছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (ট্রাফিক) আলমগীর কবীর বলেন, গত ঈদে পরিস্থিতি যেহেতু সামাল দিতে পেরেছি, সেখানে এ ঈদে কোনো সমস্যাই হবে না। কারণ, কোরবানির ঈদের চেয়ে রোজার ঈদে যাত্রী বেশি থাকে। আমাদের সব প্রস্তুতি শেষ করেছি। আশা করছি, কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই এবারের ঈদযাত্রা সম্পন্ন করতে সক্ষম হবো।