ঈদ জামাতের জন্য প্রস্তুত শোলাকিয়া

সারাদেশ ডেস্ক

প্রতি বছরের মতো এবারও আশা করা হচ্ছে, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদুল আজহার জামাত। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে চলছে ঈদ জামাতের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। জামাতে ইমামতি করবেন মার্কাস মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান। এটি হবে শোলাকিয়ার ১৯১তম ঈদুল আজহার জামাত।

দেশের সবচেয়ে বড় শোলাকিয়ার এই ঈদের জামাত সফল করতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে মাঠে দাগ কাটা, বালু ফালানোসহ শোলাকিয়া মাঠকে জামাতের উপযোগী করার কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কার করা হয়েছে ওজুখানা এবং টয়লেট। চলছে শহরের শোভাবর্ধনের কাজও।

প্রস্তুত রাখা হয়েছে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও কয়েকটি মেডিক্যাল টিম। দূর-দূরান্তের মুসুল্লিদের যাতায়াতের জন্য শোলাকিয়া স্পেশাল নামে দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

জেলা প্রশাসক ও শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটি’র সভাপতি মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী প্রস্তুতি কর্মকান্ডে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বরাবরের মত এবারো সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জামাত অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে মাঠকে জামাতের উপযোগী করতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উৎসবমুখর পরিবেশে জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’

রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ৬টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হবে। জামাত শুরুর ৫ মিনিট আগে ৩টি, ৩ মিনিট আগে ২টি, এবং ১ মিনিট আগে ১টি গুলি ছুড়ে জামাত শুরুর সঙ্কেত দেওয়া হবে।

জনশ্রুতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে