প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদ শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয়।
তিনি বলেন, ‘আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।’
২২ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রিয় দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলিম জনগোষ্ঠীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রিয়বস্তুকে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভে যে অনন্য দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহীম (আ.) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে চিরকাল অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিবছর এ উৎসব পালনের মধ্যদিয়ে স্বচ্ছল মুসলমানগণ কুরবানিকৃত পশুর গোস্ত আত্মীয়-স্বজন ও গরীব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে মানুষে-মানুষে সহমর্মিতা ও সাম্যের বন্ধন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী পবিত্র এই দিনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করেন।