বিশেষ প্রতিনিধি
ঈদুল ফিতরের মতোই বুধবার ঈদুল আজহাও কারাগারেই কাটাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
রাজনৈতিক জীবনে এই অভিজ্ঞতা তার এবারই হয়েছে এমন নয়।
এর আগেও ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হয়ে দুটি ঈদ চার দেয়ালের মধ্যেই কাটাতে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তখন তিনি ছিলেন সংসদ ভবন এলাকার একটি ভবন যেটাকে সাবজেল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।
সে সময় খালেদা জিয়ার মতো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও দুটি ঈদ কাটাতে হয়েছে বন্দী অবস্থায়। পাশাপাশি ভবনে ছিলেন দুই জন।
তবে পার্থক্য হচ্ছে, আগের দুই বার আসামি হিসেবে আর এবার দণ্ডিত হিসেবে কারাগারে রয়েছেন বিএনপি প্রধান। তবে আগের বারের মতোই ‘খুশির দিনে’ তার একমাত্র সঙ্গী গৃহকর্মী ফাতেমা। তবে গত ঈদের মতো এবারও খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্বজনদের দেখা করার কথা আছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের সাজার পর বিএনপি চেয়ারপারসন নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারগারে বন্দি বিএনপি প্রধান। সঙ্গী হিসেবে ফাতেমা বেগম।
এবার কারাবন্দি হওয়ার পর শুরুতে বিএনপির শীর্ষ নেতারা আশা করেছিলেন ঈদুল ফিতরের আগেই মুক্তি পাবেন তাদের চেয়ারপারসন। কিন্তু রমজানের ঈদের মত ঈদুল আযহাও কারাগারে কাটছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।
ঈদুল ফিতরের দিনে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। ওই সময় খালেদা জিয়ার প্রয়াত ভাই সাঈদ এস্কান্দরের স্ত্রী নাসরিন এস্কান্দার ও তার ছেলে শামস এস্কান্দার, শাফিন এস্কান্দার, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক এস্কান্দার, এরিক এস্কান্দার, ভাগ্নি অরনি এস্কান্দার, অনন্যা এস্কান্দার, শাফিয়া ইসলাম, ভাগিনা সাইফুল ইসলাম ডিউক, মো. মেহরাব ও আল মামুন, তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বড় বোন শাহিনা খান জামান বিন্দু, তার স্বামী শফিউজ্জামানসহ খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা, কর্মচারী কারাগারে সাক্ষাৎ করতে পেরেছিলেন।
তবে এবারের ঈদে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী, সন্তানেরও সাক্ষাৎ করার কথা আছে। গত ১৩ আগস্ট তারা লন্ডন থেকে দেশে এসেছেন।
গত ঈদে পরিবারের সদস্যরা ঈদের দিনে খালেদা জিয়া যেসব খাবার পছন্দ করেন, সেগুলো তারা রান্না করে নিয়েছিলেন। কারা কর্তৃপক্ষ সব খাবার পরীক্ষা করার পর খালেদা জিয়াকে দেয়া হয়। এবারও তার অন্যথা হবে না-বলছেন স্বজনরা।