রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বুধবার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলায় ঈদ-উল-আজহার ত্যাগের মহিমা থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বঙ্গভবনে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষ্যে সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কুরবানী আত্মত্যাগের পাশাপাশি মানুষকে ধৈর্য্য ধারণের শিক্ষা দেয়। আমাদের ঈদ-উল-আজহা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি এ সময় জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিক, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ, সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের শ্রেণি ও পেশার মানুষকে অভ্যর্থনা জানান।
হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর আত্মত্যাগকে মহান আল্লাহ্র প্রতি গভীর আস্থা, বিশ্বস্ততা ও আত্মসমর্পণের সর্বোচ্চ নিদর্শন উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ঈদ-উল-আজহা সবাইকে আত্মত্যাগের শিক্ষা দেয়। আত্মত্যাগের এই মহান শিক্ষাকে লালন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাইকে ধৈর্য্যরে সঙ্গে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মানবতাই ধর্মের মূল শিক্ষা। ধর্ম মানুষকে মানবতার শিক্ষা দেয় এবং মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথ দেখায়।’ তিনি কুরবানীর আত্মত্যাগের মহিমা ব্যক্তি, সমাজ ও রাজনৈতিক জীবনে প্রভাব ফেলবে বলে আশা করেন। আবদুল হামিদ বলেন, ‘সকলের মাঝে পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহনশীলতা নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি সাম্যভিত্তিক সুখী, প্রগতি ও শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।’ রাষ্ট্রপতি আগামী দিনগুলোয় জীবনের সর্বত্র সাম্য ও মৈত্রীর বন্ধন ছড়িয়ে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচএম মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকমন্ডলী, তিনবাহিনীর প্রধানগণ, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি), সংসদ সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্যবৃন্দ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানগণ অন্যান্যের মধ্যে অভ্যর্থনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি তার ভবনের দরবার হলে বিভিন্ন স্থান থেকে আগত অতিথিদের কুশল ও মত বিনিময় করেন।