বিনোদন ডেস্ক
কেরালার বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ছয়টি বড় কার্টুন পাঠিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। এসব কার্টুনে রয়েছে অমিতাভ বচ্চনের নিজের ব্যবহার করা ৮০টি জ্যাকেট, ২৫টি প্যান্ট, ২০টি শার্ট আর ৪০ জোড়া জুতা। পাশাপাশি তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর তহবিলে ৫১ লাখ রুপি অনুদান দিয়েছেন। এ ছাড়া বানভাসিদের জন্য প্রয়োজনীয় আরও অনেক জিনিস পাঠিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সমন্বয়কারী রেসুল পুকুট্টি এসব গ্রহণ করেছেন।
এদিকে কেরালার আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, নতুন করে আর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে, পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে কেরালার ১৪টি জেলাতেই সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে। গালফ নিউজের খবরে বলা হয়েছে, কেরালায় এখন ২০ লাখ মানুষ বন্যার কবলে। ৬ লাখ মানুষকে তিন হাজার আশ্রয়শিবিরে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে মৃত মানুষের সংখ্যা ৪০০ ছাড়িয়েছে। বন্যার্তদের উদ্ধারের কাজে নেমেছে ২৩টি হেলিকপ্টার ও এক হাজার লাইফবোট। উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন সেনা, নৌসেনা, পুলিশ, দমকল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সদস্য, রেডক্রস, ভারত সেবাশ্রম সংঘসহ দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকেরা।
কেরালার বন্যায় নিঃস্ব হওয়া মানুষজন যাতে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন, তার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলিউডের তারকাসহ সমাজের সব স্তরের মানুষ। বন্যাদুর্গত মানুষকে সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি রুপি দিয়েছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। শাহরুখ খান ২৬ লাখ ও জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ পাঁচ লাখ রুপি দিয়েছেন। এষা গুপ্ত দিয়েছেন তাঁর এক দিনের উপার্জন। পুনম পাণ্ডে তাঁর আগামী ছবি তেলেগু ভাষায় ‘লেডি গব্বর সিং’ থেকে পাওয়া পারিশ্রমিকের পুরোটাই দিয়েছেন। প্রভাস ২৫ লাখ, বিজয় ৭০ লাখ, কুণাল কাপুরের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘কেটো’ থেকে ১ দশমিক ২ কোটি রুপি দিয়েছেন।
কেরালার ভয়াবহ বন্যা আর বন্যায় প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি দেখে অমিতাভের চোখ ভিজে গেছে। এরপর এক টুইট বার্তায় তিনি দেশের প্রতিটি মানুষকে কেরালার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
সালমান খান এখন আছেন মাল্টায়। সেখানে ‘ভারত’ ছবির শুটিং করছেন। সেখান থেকে টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত। আসুন, কেরালার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াই। আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই।’ আরেকটি বার্তায় তিনি বলেছেন, প্রকৃতির রোষে পড়ে কেরালা যেভাবে বন্যায় ভেসে গেছে, তাতে খুবই কষ্ট পেয়েছেন তিনি। কেরালার বানভাসি প্রতিটি মানুষের কষ্ট তিনি অনুভব করছেন।
সালমান খান নিজেও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। এরই মধ্যে তিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছেন। এখানে অর্থ কোনো বিষয় না। তাঁর মতে, বানভাসি মানুষের জন্য দ্রুত খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে হবে। আর তা দ্রুত পৌঁছে দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে। সালমানের নির্দেশ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলো এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছে।