বিশেষ প্রতিনিধি
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা ছেড়েছেন বেশির ভাগ মানুষ। কয়েকদিনের জন্য অচেনা রূপ পেয়েছে ঢাকা শহর। এ সুযোগে চুরি কিংবা ছিনতাই অর্থাৎ অপ্রীতিকর ঘটনার শঙ্কায় সতর্ক অবস্থানে আছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যেন ছিনতাই-চুরিসহ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের সব ইউনিট সমন্বিতভাবে কাজ করছে। প্রতিটি পয়েন্টে পুলিশের তল্লাশি-চৌকি রয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মোড়ে মোড়ে টহলে রাখা হয়েছে পুলিশকে। পাঁচ স্তরের এ নিরাপত্তা মানুষ ফিরে না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
শুক্রবার সরেজমিন গুলশান নিকেতন সোসাইটির প্রবেশমুখে চেকপোস্টে দেখা যায়, সন্দেহভাজন গাড়ি ও ব্যক্তিকে তল্লাশি করছে পুলিশ। নাম-পরিচয় নিশ্চিত হয়েই ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। কেননা বেশিরভাগ বাড়ি তালা দিয়ে বন্ধ করে গ্রামের বাড়ি গেছেন লোকজন।
দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য বলছিলেন, ‘১০ দিন এ ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। নাম-পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কাউকেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না।’
ডিএমপি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, এ অবস্থা শুধু নিকেতনেই নয়, পুরো রাজধানী জুড়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকায় এলাকায় টহল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া এলাকাভিত্তিক বিট পুলিশ কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিট এবং বোম্ব-ডিসপোজাল ইউনিট সদা তৎপর। এ ছাড়া ঈদকে কেন্দ্র করে জঙ্গি বা সন্ত্রাসবাদী কোনো সংগঠনের হামলা প্রতিরোধে গঠিত বিশেষায়িত কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোয়াট টিম ও বোম্ব ডিসপোজাল টিম রাখা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দাও মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া বাসিন্দাদের ফাঁকা বাসায় যাতে চুরি-ডাকাতি না ঘটে সেজন্য প্রতিটি এলাকায় পুলিশের মোবাইল টিম বাড়ানো হয়েছে। ফুট পেট্রোলের পাশাপাশি, মোটরবাইক টহল ও ভেহিক্যাল পেট্রোলও বাড়ানো হয়েছে।
এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ফাঁকা ঢাকায় যাতে যানবাহন দ্রুতগতিতে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার না হয় সেজন্য ব্যারিকেড দিয়ে গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।