দারুণ একটি সুযোগ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ হকি দলের সামনে। আজ জিবিকে হকি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল তিনটায় থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলেই বাংলাদেশকে খেলতে হবে না এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্ব। আগামী আসরে সরাসরি সুযোগ পাবে চূড়ান্ত পর্বে।
বহু বছর পর এমন সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে টিম বাংলাদেশ। দলের সহকারি কোচ আশিকুজ্জামান জানান, ‘বাংলাদেশ কবে এমন সুযোগ পেয়েছিল আমার জানা নেই। যতদুর মনে হচ্ছে ২০ বছর আগে এমন একটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। যেটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছিল তখনকার হকি সেনারা। থাইল্যান্ডকে হারাতে পারলে আমাদের ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত। স্থান নির্ধারণীতে খেলতে হবে কোরিয়া কিংবা অন্য একটি দেশের সাথে। যেখানে হারলেও ষষ্ঠ স্থান নিশ্চিত থাকবে। আর তাতেই খেলতে হবে না আগামী এশিয়ান গেমস ও এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব। সরাসরি খেলার সুযোগ পাবো চুড়ান্ত পর্ব। আমরা সকলে ইতিবাচক চিন্তা করছি। দলে কোন ইনজুরি নেই। আশরাফুল গত ম্যাচে ইনজুরির কারণে খেলতে না পারলেও আগামিকাল থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে তার কোন অসুবিধে হবে না।’
প্রথম ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি ওমানকে ২-১ গোলে হারিয়ে শুভ সুচনা করে ফরহাদ হোসেন শিটুল বাহিনী। এরপর কাজাকিস্তানের সাথে কমপক্ষে আটটি গোলের সহজ সুযোগ নস্ট করেও ৬-১ গোলে হারায় লাল সবুজরা। তৃতীয় ম্যাচে মালয়েশিয়ার সাথে হার ৭-০ ব্যাবধানে। চতুর্থ ম্যাচে টিম বাংলাদেশের টার্গেটে থাইল্যান্ড। তাদের সাথে জয়ী হলেই ষষ্ঠ স্থান লাভের সুযোগ। পঞ্চম ম্যাচে শক্তিশালি পাকিস্তানের বিপক্ষে হারলেও কোন ফারাক পড়বে না স্থান নির্ধারণীতে। থাইল্যান্ডকেই টার্গেট করে আজ সকালে কঠোর পরিশ্রম করেছে গোপীনাথানের শিষ্যরা। যদিও র্যাংঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা থাইল্যান্ডের (৪৭) বিপক্ষে কখনো হারেনি ৩১ র্যাংঙ্কিয়ে থাকা বাংলাদেশ ।
কোচ গোপীনাথানের কথায়, ‘দল সবসময় জয়ের জন্যই মাঠে নামে। মালয়েশিয়া ও কাজাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে মাঠে নেমেছে সেভাবেই মাঠে নামবো। সবসময় সেরাটা দিতেই প্রস্তত আমার দল। পরিকল্পনা অনুযায়ি খেলতে পারলে টার্গেটে পৌঁছানো সম্ভব। এখানে বাধার কিছু দেখছি না।’