সরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বিচার বিভাগকে নিয়ে নিজেদের ইচ্ছা পূরণের অপচেষ্টা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এই ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত বলে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী-নেতারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও দূরভিসন্ধিমূলক ছাড়া আর কিছু নয় বলেও দাবি করেছে দলটি।
সোমবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী ও সেতুমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সবচেয়ে মুখে বেশি প্রচারিত হচ্ছে, তা হলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জড়িত। আইনমন্ত্রী বলছেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই মামলায় রায় হবে, সেতুমন্ত্রী বলেছেন, এই রায়ের পর বিএনপির নেতৃত্ব সংকটে পড়বে।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি হলো- বিচারাধীন মামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের মন্ত্রী ও নেতারা নির্বিঘ্নে ক্রমাগত এমন বক্তব্য দিতে পারেন যা মামলার রায় প্রভাবিত করতে পারে। বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারকালেও এমনটা হয়েছে এবং তার ফলাফল মামলার রায়ে প্রতিফলিত হয়েছে।’
‘কোন মামলার রায় কবে হবে তা এখন আর বিচারকরা নন, আইনমন্ত্রী স্থির করেন। বিচার বিভাগের ওপর কতটা নিয়ন্ত্রণ থাকলে এটা তিনি করতে পারেন তা সহজেই বোধগম্য।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১১ সালে পুলিশ রিপোর্ট পেশ হওয়ার আগেই তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্য জনসভায় ঘোষণা করেছিলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান রহমানকে আসামি করা হবে। হয়েছেও তাই। ওবায়দুল কাদের রায় হওয়ার আগেই কী করে বলতে পারেন- এই মামলার রায় হওয়ার পর বিএনপির নেতৃত্ব সংকটে পড়বে। অর্থাৎ তিনি জানেন, কী রায় হতে যাচ্ছে।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা নিয়ে এসব গুরুত্বপূর্ণ নেতার বক্তব্য কোনো বিচারেই গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার এবং আইনের শাসনের পক্ষে বলা যাবে না বলে মনে করেন বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।