বঙ্গবন্ধুকে ‘মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা’ দেওয়া হচ্ছে

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত হওয়া মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা পাচ্ছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুকে মরণোত্তর এ সম্মানে ভূষিত করা হবে।

কলকাতার সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে রোববার মাদার তেরেসার ১০৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯তম আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড মঞ্চে এ ঘোষণা দেন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস।

universel cardiac hospital

তিনি বলেন, ২০০১ সালে প্রথম মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড সোনারগাঁও হোটেলে আমি নিজ হাতে তুলে দিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। এরপর সমাজের বহু বিশিষ্টজন কলকাতায় এসে এই অ্যাওয়ার্ড নিয়েছেন। আমরা ঠিক করেছি ২০১৯ সাল থেকে মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা চালু করবো।

‘প্রথম মরণোত্তর মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা দেয়া হবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কলকাতায় গিয়ে নেয়া সম্ভব হবে না। আপনারা যদি বাংলাদেশে এসে এই সম্মাননা দেন তাহলে আমি ও আমার বোন সাদরে গ্রহণ করবো।’

কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস বলেন, গত ১৮ বছর ধরে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এ সম্মাননা দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন অবদানের জন্য। সে ধনী হোক বা দরিদ্র। ভারত ছাড়াও আমরা বাংলাদেশের একাধিক বিশিষ্টজনকে এই সম্মাননা দিতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করি।

‘মাদারের মৃত্যু পর্যন্ত আমি তার সঙ্গে ছিলাম। আমিই প্রথম তাকে সন্ত উপাধি দেয়ার জন্য ভ্যাটিকান সিটিকে চিঠি পাঠিয়েছিলাম। বিশ্বের এত শহর থাকতে মাদার তেরেসা কলকাতা বেছে নিয়েছিলেন। প্রথম দিকে ওনাকে প্রচণ্ড বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। সে সময় তাকে গ্রামে পর্যন্ত ঢুকতে দেয়া হয়নি।’

এবার যৌথভাবে ১৯তম মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশের টিএম প্রোডাকশনের দুই ব্যক্তি। মাদার তেরেসার জন্মবার্ষিকীতে সমাজের প্রান্তিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের দিয়ে কেক কাটিয়ে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়।

বাংলাদেশ ছাড়া ভারতের তিনজন বিশিষ্টজনকে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এ পদক তুলে দেয়া হয়।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে