ডেস্ক রিপোর্ট
রাজশাহীতে ছাত্রদলের পদবঞ্চিতরা মহানগর বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। তাঁদের হামলায় নবগঠিত থানা কমিটির কয়েকজন নেতা আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হামলার সময় কার্যালয়ের প্লাস্টিকের চেয়ার ও জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। টেবিল উল্টে ফেলা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পদবঞ্চিতদের এই হামলার আগে নগরের মালোপাড়া এলাকায় ভুবনমোহন পার্কসংলগ্ন বিএনপির এই কার্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটিগুলোর নেতা-কর্মীরা সভা করছিলেন। সভা পরিচালনা করছিলেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক।
তিনি বলেন, ‘গতরাতে আমরা নতুন কমিটির নেতা-কর্মীরা মিনু ভাইয়ের (বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু) বাসায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তিনি রাজনৈতিক চর্চার জন্য আমাদের দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত বসার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী আমরা বসেছিলাম। আমি সভা পরিচালনা শুরু করেছিলাম। এ সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন। পরে আমাদের বের করে দিয়ে কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।’
এমদাদুল হক বলেন, ‘যাঁরা হামলা করেছেন, তারা ছাত্রলীগের সঙ্গে মেলামেশা করেন। হামলায় কতিপয় যুবদল নেতা এবং অছাত্ররাও ছিলেন। পদবঞ্চিতরা কিছু পদধারী ছাত্রদল নেতাদের ভুল বুঝিয়ে এনে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।’
গত শনিবার নগরের বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার, শাহ মখদুম, কাশিয়াডাঙ্গা ও চন্দ্রিমা থানা এবং রাজশাহী কলেজ, সিটি কলেজ এবং নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করে মহানগর ছাত্রদল।
এসব কমিটিতে পদ না পেয়ে গতকাল রোববার দুপুরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তালা দেন। পরে বিকেলে নতুন কমিটির নেতারা তালা ভেঙে পরিচিতি সভা করেন।
গতকাল দলীয় কার্যালয়ে তালা দেওয়ার সময় মহানগর ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. আরিফুজ্জামানও উপস্থিত ছিলেন। আজকের সোমবারের ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, হামলার ঘটনা শুনে তিনি দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। তবে সেখানে কাউকে পাননি।
আরিফুজ্জামান বলেন, পরে তিনি জানতে পেরেছেন, নতুন কমিটির নেতা-কর্মীরা সভা করছিলেন। পদবঞ্চিতরা গিয়ে তাঁদের বের হয়ে যেতে বলেন। তখন নতুন কমিটির নেতারা তাঁদের গায়ে হাত তোলেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এটা দুঃখজনক।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ভাঙচুরের খবর পেয়ে বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু পুলিশ পৌঁছার আগেই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে যায়। দলীয় কার্যালয়ে কোনো ছাত্রদলের নেতা-কর্মীকে পাওয়া যায়নি। এ জন্য কাউকে আটকও করা সম্ভব হয়নি।