জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কবির সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় কবিতা পরিষদ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি রবীন্দ্র গোপ, কবি এম আর মঞ্জু, কবি বদরুল হায়দার, কবি ঋণা তালুকদার, নাট্যকার হানিফ খান ও কবি শরাফত হোসেন ।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম মানবতার মুক্তির পাশাপাশি সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, কূপমণ্ডূকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। মুক্তবুদ্ধি ও চিন্তার পক্ষে কলম ধরেছেন নির্ভীক চিত্তে।
নজরুলের লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ভূমিকা রাখছে মন্তব্য করে কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, তাঁর কবিতা ও গান মানুষকে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে।
জাতীয় কবিতা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক কবি আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম লেখনীর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষকে জাগ্রত করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর গান, কবিতা সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে দেশের মুক্তিকামী মানুষকে। নজরুলের চেতনা ও আদর্শ জতীয় জীবনে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন কবি আমিনুর রহমান সুলতান।
উল্লেখ্য ১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট (১৩৮৩ বঙ্গাব্দের ১২ ভাদ্র) তদানীন্তন পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে পড়েন কবি কাজী নজরুল ইসলাম। দ্রোহে ও প্রেমে, কোমলে-কঠোরে বাংলা কাব্য ও সংগীতে এক নতুন মাত্রা সংযোজন করেছিলেন তিনি তাঁর অনন্য প্রতিভায়। সব রকমের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কবি ‘চির উন্নত মম শীর’ বলে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকার তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৮৯৯ সালের ২৪ মে) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে। বাবা কাজী ফকির আহমেদ এবং মা জাহেদা খাতুন।