বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ব্যাপক পরিচিতি দিতে ও বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের কলাকৌশল শিক্ষা দিতে বাংলাদেশে দ্বিতীয়বারের মতো আর্ন্তজাতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
আগামী ৩১ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর আগারগাঁওস্থ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত হবে এই কর্মশালা। এখানে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার নানা দেশ থেকে ৩০ জন তরুণ ও উঠতি চলচ্চিত্র নির্মাতা অংশগ্রহণ করবেন।
পাশাপাশি যৌথ প্রযোজনায় ছবি নির্মাণের নানা কলাকৌশল প্রশিক্ষণ দিতে বিশ্ববিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, টেলিভিশন সম্প্রচারক, চিত্র পরিবেশক এবং সিনেমায় অর্থ লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও এতে উপস্থিত থাকবেন।
প্রামাণ্য চিত্রে যৌথ প্রযোজনা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক এই কর্মশালার বিস্তারিত আয়োজন সম্পর্কে জানাতে গতকাল সোমবার বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ঢাকা ডকল্যাব।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ডকল্যাবের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন ইউসুফ, ঢাকা ডকল্যাবের পরিচালক তারেক আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, গ্যাটে ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ড. কাসর্টেন হ্যাকেনব্রক প্রমুখ।
সেমিনারে জানানো হয়, কর্মশালায় বিভিন্ন দেশের ১৫ জন নির্মাতা তাদের নতুন প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নিয়ে অংশগ্রহণ করবেন। অংশগ্রহণকারি দেশগুলোর তালিকায় আছে জাপান, পর্তুগাল, ইন্ডিয়া, বেলজিয়াম, সাউথ আফ্রিকা, জার্মানি, কোরিয়া, ইংল্যান্ড, বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশ।
৬ দিনের কর্মশালা দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম তিন দিন নিবির প্রশিক্ষণে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় ভাগে মূলত যৌথ প্রযোজনা বিষয়ক পিচিংয়ের আয়োজন করা হবে। বাছাইকৃত ১৫জন এরই মধ্যে প্রকল্পগুলো মেন্টরিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। তারা দেশি-বিদেশি প্রযোজক, টেলিভিশন সম্প্রচারক, কমিশনিং এডিটর, চলচ্চিত্র পরিবেশক, চলচ্চিত্র বাজার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সুযোগ পাবেন। সেরা চলচ্চিত্রগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে।
সেমিনারে আরও জানানো হয়, ছয় দিনব্যপী এ আয়োজনের বাজেট করা হয়েছে ৫১ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা। এবারের আয়োজনে বাংলাদেশ সরকার আংশিক আর্থিক সহায়তা করেছেন।
ডকল্যাবের চেয়ারম্যান নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুশির খবর যে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো এ কর্মশালার আয়োজন করতে যাচ্ছি। আশা করছি গতবারের চেয়ে এবারের আয়োজন আরও পরিপূর্ণ হবে। এ আয়োজন থেকে প্রামাণ্যচিত্রের যে প্রকল্পগুলো নির্বাচিত হবে, তা পরবর্তীতে যৌথ প্রযোজনায় নির্মানের মধ্য দিয়ে দেশের চলচ্চিত্রের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উম্মোচন করবে।’