বারবার সময় বেঁধে দেয়া সত্ত্বেও কর্যকর হয়নি ব্যাংক ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামানোর অঙ্গীকার। জুলাই পর্যন্ত ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে মাত্র ১৪টি ব্যাংকের শিল্পঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নেমেছে। বাকি ৪৩টি ব্যাংকে সুদহার ডাবল ডিজিটেই রয়ে গেছে। এ মাসের শুরুর দিকে দুটি বেসরকারি ব্যাংক আমানতের সুদহার কমিয়েছে। তবে তারা ঋণের সুদহার কমায়নি।
বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বিএবির পক্ষ থেকে ঘোষণা ছিল ১ জুলাই থেকে সব ব্যাংক সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করবে। সরকারি ব্যাংকগুলোও এর বেশি সুদ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা আলাদাভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে জানিয়ে আসেন অধিকাংশ ব্যাংক জুলাই থেকে উৎপাদনশীল খাতে এক অংকের সুদে ঋণ বিতরণ শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়া ব্যাংকগুলোর জুলাইয়ের প্রতিবেদনে এ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন নেই। জুলাইয়ে উৎপাদনশীল খাতে দুই অংকে সুদ নিয়েছে ৪৩টি ব্যাংক।
ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। এর আলোকে অর্থমন্ত্রীও একাধিকবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে সুদের হার কমানোর নির্দেশ দেন। ব্যাংক পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) প্রতিশ্রুতির পরও অধিকাংশ ব্যাংক সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নামায়নি। এদিকে শিল্প ঋণের সুদহার কিছু ব্যাংকে কমলেও এর বিপরীতে বিভিন্ন চার্জ, ফি বা কমিশন এসব মিলে সুদহার ডাবল ডিজিটেই থাকছে।