প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণে কোন বাধা নেই। কর্মী প্রেরণের পদ্ধতিগত কিছু পরিবর্তন হতে পারে। আজ দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে কোন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের কর্মী প্রেরণ অব্যাহত রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ রয়েছে। মালয়েশিয়া সরকারের সাথে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠক করে কর্মী প্রেরণের ক্ষেত্রে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে ১ হাজার ৮১টি রিক্রুটিং এজেন্সির একটি তালিকা থেকে ১০টি এজেন্সীকে কর্মী প্রেরণ করার জন্য মনোনীত করে। শুরু থেকেই এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে আমি কথা বলে আসছি। এখন থেকে আবার পুরানো পদ্ধতিতে কর্মী যেতে পারবেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের পক্ষ থেকে ২ লাখ ৬৯ হাজার কর্মী নেয়ার চাহিদা ছিল। মালয়েশিয়া দূতাবাস থেকে ২ লাখ ৩৫ হাজার ভিসা সত্যায়ন করা হয়েছে। ৮৬টি কোম্পানীর ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে ৩২ হাজার ভিসা সত্যায়ন করা যায়নি। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে ২ লাখ কর্মীর অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং ২৫ থেকে ৩০ হাজার কর্মীর অনুমতি প্রদানের অপেক্ষায় রয়েছে। যাদের ভিসা এবং বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তারা মালয়েশিয়া যেতে পারবেন বলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান।
আউট সোর্সিং কোম্পানি সিস্টেমস পারমুহানান পিকারজা এসাইন (এসপিপিএ) এর মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাতিল করেছে মালয়েশিয়ার নতুন সরকার। এরফলে এই সিস্টেমের মাধ্যমে যে কলিং বা ভিসা আসতো তা আর আসবে না। তবে এই সিস্টেমে যত ভিসা এসেছে তারা যেতে পারবেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করে বলেন, ১০ এজেন্সীর বিরুদ্ধে অনিয়ম বা অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.নমিতা হালদার ও অতিরিক্ত সচিব আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ৯ হাজার ৫৬২ জন কর্মী মালয়েশিয়া গেছেন। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ৯ লাখ বাংলাদেশ কর্মী বৈধভাবে কাজ করছে।