‘দুর্নীতির শীর্ষে’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা: টিআইবি

‘ডেস্ক রিপোর্ট

দেশের সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত খাত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-বাংলাদেশের(টিআইবি) খানা জরিপে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে মাইডাস ভবনে টিআইবির কার্যালয়ে এ জরিপ তুলে ধরা হয়েছে। অনুষ্ঠানে টিআইবির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল ও নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

জরিপে দেখানো হয়েছে, ঘুষ প্রদানকারী খানার ৮৯ শতাংশ ঘুষ দেয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ‘ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’ অর্থাৎ ঘুষ আদায়কে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে; যা ২০১৫ সালে ছিল ৭০.৯ শতাংশ।

হয়রানি বা জটিলতা এড়াতে ঘুষ দিয়েছেন ৪৭.১ শতাংশ সেবাগ্রহীতা, নির্ধারিত ফি জানা না থাকায় অতিরিক্ত অর্থ দিয়েছেন ৩৭ শতাংশ, নির্ধারিত সময়ে সেবা পেতে ২৩.৩ শতাংশ, আরও দ্রুত সময়ে সেবা পেতে ঘুষ দিয়েছেন ৪.৩ শতাংশ, অবৈধ সুবিধা বা সুযোগ প্রাপ্তির জন্য ঘুষ দিয়েছেন ২ শতাংশ সেবাগ্রহীতা।

দুর্নীতির শিকার খানার হারের তুলনামূলক চিত্রে দেখানো হয়েছে- ২০১২ সালে ছিল ৬৭.৩ শতাংশ, ২০১৫ সালে ৬৭.৮ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে তা দাঁড়ায় ৬৬.৫ শতাংশ। টিআইবির দাবি দুর্নীতি কমার এ হার গ্রহণযোগ্য নয়।

সার্বিক পর্যবেক্ষণে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্থ খাত হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় দুর্নীতির শিকার হয়েছেন ৭২.৫ শতাংশ মানুষ। ঘুষ দিয়েছেন ৬০.৭ শতাংশ মানুষ, যার পরিমাণ ২ হাজার ১শ ৬৬ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাসপোর্ট সংক্রান্ত কাজ। এ খাতে দুর্নীতির শিকারে হয়েছেন ৬৭.৩ শতাংশ মানুষ। এ খাতে মোট ঘুষ দিয়েছেন ৫৯.৩ শতাংশ সেবাগ্রহীতা, যার পরিমাণ ৪৫১ কোটি টাকার বেশি।

তবে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের দিক থেকে সবার ওপরে ভূমি সেবা খাত। এ খাতে দুর্নীতি হয়েছে ২ হাজার ৫শ ১২ টাকার।

সার্বিক পর্যবেক্ষণে দুর্নীতিগ্রস্থ খাতের তালিকায় পাসপোর্টের পরে রয়েছে বিআরটিএ (ঘুষের পরিমাণ ৭১০ কোটি টাকা), বিচারিক সেবা (ঘুষের পরিমাণ ১২৪১ কোটি টাকা), ভূমি সেবা, শিক্ষা (ঘুষের পরিমাণ ৪৫৫ কোটি টাকা), স্বাস্থ্য (১৬০ কোটি টাকা)।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে