দেশের জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ আসে মৎস্যখাত থেকে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেছেন, মৎস্যখাত থেকে বাংলাদেশের জিডিপির ৩.৫৭ শতাংশ অর্জিত হয়। দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশের অধিক মানুষ মৎস্য খাতের ওপর নির্ভর করে জীবিকা নির্বাহ করে। মন্ত্রী বলেন, মৎস্যচাষী ও মৎস্যজীবীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিসাধন, কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগসৃষ্টিসহ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মৎস্যখাতের ভূমিকা অপরিসীম।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিউটের (বিএফআরআই) উদ্যোগে ‘বার্ষিক গবেষণা-পরিকল্পনা প্রণয়ন ২০১৮-১৯’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এসব কথা বলেন।

কর্মশালার উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, দেশ এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে বিলুপ্তপ্রায় ৬৪ প্রজাতির মাছের মধ্যে বিএফআরআই ১৮টি মাছের প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করেছে, যা দেশী মাছ রক্ষায় আশার আলো জাগিয়েছে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান এখন বিশ্বে ৩য়, মিঠাপানির মাছউৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ আর ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম, এমনকি গত ৯ বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৬৬ শতাংশ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্র জয়ের ফলে সমুদ্রের ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা আমাদের অন্তর্ভুক্ত হবার প্রেক্ষিতে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের স্থায়িত্বশীল উন্নয়নে জরিপ-জাহাজ ‘আরভি মীন সন্ধানী’র মাধ্যমে জরিপকাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। তাছাড়া, সম্প্রতি ‘ড. ফ্রিজ অব ন্যানসন’ নামক অত্যাধুনিক জাহাজ দিয়েও সমুদ্রে জরিপকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করে বলেন, জরিপ কাজের তথ্য-উপাত্ত আমাদের হাতে আসার পর সমুদ্রের ব্যবস্থাপনা কৌশল উদ্ভাবন করা সম্ভব হবে এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব রইছউল আলম মণ্ডল, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. কবির ইকরামুল হক, মৎস্য অধিফতরের মহাপরিচালক মোঃ গোলজার হোসেনসহ কর্মকর্তাগণ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন মৎস্য গবেষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, এনজিও-প্রতিনিধি, খামারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ অংশ নেন। কর্মশালায় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ৫০টি গবেষণা-প্রস্তাবনা উপস্থাপন করবেন এবং বিজ্ঞানীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন। মাঠপর্যায়ে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রস্তাবের সমন্বয়ে গঠিত এসব পরিকল্পনা-প্রস্তাব নিয়ে সংশ্লিষ্টরা দু’দিনব্যাপী বিভিন্ন সংশোধনী ও পরামর্শ দিয়ে একটি বার্ষিক গবেষণা-পরিককল্পনা-প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা দেবেন।

শেয়ার করুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে