কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতি নাই। যে কারণে তিনি এখন আর আওয়ামী লীগ করেন না।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা ও তার প্রতিবাদ, প্রতিরোধ সংগ্রাম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগ করি না। এই জন্য করি না, আজকের আওয়ামী লীগে বঙ্গবন্ধু নাই, বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ নাই। বরং যারা বঙ্গবন্ধুকে খুন করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে, তারা আজকে এই সরকার এবং আওয়ামী লীগে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে আছে। যত দিন বেঁচে থাকব, এর বিরোধিতা করে যাব।’
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার প্রতিবাদে ১৯৭৫ সালে তাঁর নেতৃত্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রতিবাদের যে বীজ আমরা বপন করেছি, সেটা না হলে আওয়ামী লীগের আজকের এই অবস্থা থাকত না। আওয়ামী লীগ কবরের নিচে থাকত।’ ওই সময়ের প্রতিবাদকারীদের কোনো মর্যাদা ও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
বঙ্গবীর বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে বা অক্টোবরের শুরুতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারীদের সম্মান জানাবেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন সেখানে উপস্থিত থাকার জন্য।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যাঁদের প্রতিবাদ করার কথা ছিল, তাঁদের প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি। কিন্তু ওই সময়ে যাঁরা প্রতিবাদ করেছিলেন, এই সরকার ১০ বছর ক্ষমতায় থেকেও তাঁদের কোনো সম্মান দেয়নি। তাঁরা অবহেলিত হলেও ইতিহাসে তাঁদের জায়গা হবে।’
বঙ্গবন্ধুকে এখন ব্যবসার জন্য পণ্য হিসেবে যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁকে হত্যার সময়ে তাঁরা কোথায় ছিলেন বলে প্রশ্ন তোলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত এই সভায় বক্তৃতা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, নাসরিন কাদের সিদ্দিকী, সাবেক মন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।