ব্রিটিশ এফসিও এবং ডিএফআইডি মিনিস্টার অ্যালিস্টার বার্ট বলেছেন, বাংলাদেশ নিপীড়িত অসংখ্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে মানবিকতার নজির সৃষ্টি করেছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক চেষ্টাও দেখছি। কিন্তু এটি দীর্ঘ সময় চলমান রাখা সম্ভব নয়। যে কারণে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে স্বদেশে প্রত্যাবাসন করাতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে ব্রিটেন। তবে এ সংকট সমাধানে বিশ্বকে একযোগে কাজ করতে হবে।
২৯ আগস্ট দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যালিস্টার বার্ট বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা যতদিন আশ্রয়ে থাকবেন ততদিন সব ধরনের সহযোগিতা দেবে ব্রিটেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশকে ধন্যবাদ ও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়কে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
উখিয়ার কুতুপালং মধুরছড়া এলাকায় রোহিঙ্গাদের জন্য নবনির্মিত সম্প্রসারিত ক্যাম্প পরিদর্শনকালে ব্রিটিশ মন্ত্রী সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় ক্যাম্পে আশ্রিত বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা নারী–পুরুষের সঙ্গে কথা বলে রাখাইনে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের বিষয়ে অবগত হওয়ার চেষ্টা করেন।
সম্প্রসারিত ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, ব্রিটিশ মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য এক্সটেনশন ক্যাম্পের আরও সম্প্রসারণের কথা বলেছেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের সুখ–দুঃখের কথা শুনেন এবং আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহযোগিতা দিতে এনজিওগুলোকে নির্দেশ দেন।
পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ক্যাম্পে প্রায় ৩ ঘণ্টা অবস্থানকালে ইউএনসিআর, ব্র্যাক, আইওএম ও ইউকে এইড’র নানা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। এরপর ব্রিটিশ মন্ত্রী কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন।