ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শিগগিরই একটি ডেঙ্গুমুক্ত নগর উপহার দেয়া হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে এজন্য নগরবাসীরও সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় আজ ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার লার্ভা বা প্রজনণস্থল শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণে পক্ষকালব্যাপী বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে মেয়র এসব কথা বলেন।
গত দুই-তিন বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘এবার ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে, তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। এমনকি আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতিও নয়।’ তিনি বলেন, গত বছর চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব ছিলো, এবার নেই। তবে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। সেটা আতঙ্কজনক পরিস্থিতিতে নেই।
মেয়র জানান, আজ থেকে আমাদের ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পেলে তা ধ্বংস করে দিয়ে আসবে। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করবে। তিনি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকেও ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, মশার কোনো স্থান নেই। এক জায়গার মশা আরেক জায়গায় চলে যায়।
নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘আপনার বাসা-বাড়ির পরিত্যাক্ত টায়ার, ফুলের টব,এসির আউটারে জমে থাকা পানি পরিস্কার করুন। কোনো জায়গায় পাঁচদিনের বেশি পানি জমতে দেবেন না। কেননা পাঁচদিনের বেশি পানি জমে থাকলে এডিস মশার বংশ বিস্তারের সম্ভাবনা থাকে। তাই একটু সচেতনতা আপনার প্রিয়জনের জীবনকে রক্ষা করতে পারবে।’
মেয়র নির্মাণাধীন নৌ বাহিনীর তথ্যকেন্দ্র ভবনে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করে বিশেষ এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন। তিনি শিক্ষার্থী ও দোকানীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এ সময় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মো. সালাহউদ্দীন, কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কাজল, হাসিবুর রহমান মানিকসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।