ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে ভোটার ও রাজনৈতিক মহলে উৎকণ্ঠা থাকা স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
সোমবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) ভবনের সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন কালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ইভিএম’র ব্যবহার, উপকারিতা সম্পর্কে এখনও ভোটার ও রাজনৈতিক মহলকে সঠিকভাবে জানাতে পারিনি। পর্যায়ক্রমে তারা সব জানতে পারবেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এটির ব্যবহার হবে কি হবে না, সেটির চিন্তা আরও পরে হবে। যদি আইন হয়, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া যায় এবং সব মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায় তার ওপর নির্ভর করবে।
তিনি আরো বলেন, যেকোনো উদ্যোগ নতুন আবিষ্কার বা প্রযুক্তি তা জানার উৎকণ্ঠা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটা আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখি।
প্রযুক্তি এখন আর বাক্সের মধ্যে বন্দি নেই। এটি এখন মানুষের হাতে হাতে। মোবাইলের মাধ্যমেই আমরা এখন সব তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি।
সিইসি বলেন, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাজার রকমের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। চিন্তায় থাকতে হয় কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়ে যাবে কিনা। প্রযুক্তির ব্যবজার হলে এসব জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে না। তাছাড়া নির্বাচন পরিচালনায় ৭০ ভাগ খরচ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য। সেই খরচও কমে আসবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।