বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনেশিয়ান দ্বারা ওভারহোলিং শেষে অত্যাধুনিক যুদ্ধ বিমান ব্যবহারকারী ফ্লাইং স্কোয়াড্রনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধুতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুদ্ধ বিমানটি হস্তান্তর করা হয়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা বলা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনেশিয়ান দ্বারা যুদ্ধবিমানের ওভারহোলিং সম্পন্ন করায় বিমান বাহিনীর সদস্যদের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের জন্য তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়াও সহযোগিতার জন্য তিনি চীন সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও সূদৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৪ ডিসেম্বর বিমান রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু এ্যারোনটিক্যাল সেন্টারের উদ্ধোধন করেন। গত কয়েক বছর ধরে এই সেন্টারে চীনা বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে এফ-৭ যুদ্ধবিমান ওভারহোলিং করা হচ্ছে। সক্ষমতা অর্জনের ধারাবাহিকতায় এই প্রথম বারের মত শুধুমাত্র বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনেশিয়ান কর্তৃক একটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের ওভারহোলিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈদেশিক নির্ভরশীলতা কমিয়ে এখন থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিপুল পরিমান বৈদেশিক মূদ্রা সাশ্রয় করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বিমান বাহিনীর নিজস্ব টেকনেশিয়ান দ্বারা প্রথম বারের মতো যুদ্ধবিমান ওভারহোলিং করার সক্ষমতা অর্জনের জন্য গর্ববোধ করেন এবং সেই সাথে বিমান বাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, বিমান বাহিনীর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিগণ এবং অন্যান্য সামরিক ও বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।