পুরনো ঢাকার পরিত্যাক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে বিচারালয় বসিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন, ২০ দলীয় জোট নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির আমির মকবুল আহমাদ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, হঠাৎ করে সরকার পুরনো ঢাকায় অবস্থিত পরিত্যাক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে বিচারালয় বসিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন, ২০ দলীয় জোট নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার বিচার কার্যক্রম শুরু করায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। সরকারের এই উদ্যোগ অন্যায়, অনভিপ্রেত ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। সরকার প্রকাশ্যে বিচার করার পরিবর্তে কারাগারের মধ্যে বিচারালয় বসিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা ক্যামেরা ট্রায়ালের শামিল। শুধু তাই নয়, সরকারের এই উদ্যোগ সংবিধানের পরিপন্থী। জেলখানার মধ্যে আদালত বসিয়ে কোন রাজনৈতিক নেতা বা নেত্রীর বিচার হতে পারে না। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন। বাংলাদেশের সংবিধানের আর্টিক্যাল ৩৫ (৩) ধারা মতে এ ধরনের মামলা প্রকাশ্যে হতে হবে। এখানে ক্যামেরা ট্রায়াল করার কোন সুযোগ নেই।
তিনি আরো বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দী করে রেখেছে। কারাগারে বন্দী করে রেখে তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করেছে। এ অবস্থায় তার অসুস্থতা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। তাকে উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ না দিয়ে সরকার তার প্রাপ্য নাগরিক অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করছে।
কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচারের নামে প্রহসন বন্ধ করে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াত আমির। (বিজ্ঞপ্তি)