নির্বাচনী ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনা ও ভোটার রেজিস্ট্রেশন উন্নয়নে এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকারসহ ৯টি প্রস্তাব গ্রহণের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হয়েছে ফোরাম অব ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অব সাউথ এশিয়া’র (ফেমবোসা) নবম সম্মেলন।
সার্ক অঞ্চলের ৮টি নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়ে গঠিত সংগঠন ফেমবোসা’র দুই দিনব্যাপী সম্মেলন শেষে আজ বিকেলে হোটেল রেডিসনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নুরুল হুদা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র, ইভিএম পদ্ধতি, স্থানীয় নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার, ভোটার তালিকা রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতির বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
সিইসি বলেন, আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ ফেমবোসা’র চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। আগামী সম্মেলন ভুটানে অনুষ্ঠিত হবে।
আফগানিস্তান স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান গুলাজান আবদুল বাদি সায়েদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।
এছাড়া চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসাইন চৌধুরী, কবিতা খানম, রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
গুলাজান আবদুল বাদি সায়েদ বলেন, “ফেমবোসা’র লক্ষ্যই হচ্ছে কো-অপারেশন ও কো-অর্ডিনেশন। আমরা কন্ট্রিবিউট করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ফেমবোসার মাধ্যমে একে অপরকে সহায়তার মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে পারবো বলে আশা করি।” জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বুধবার দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
২০১০ সালে বাংলাদেশের উদ্যোগে ফেমবোসা যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলঙ্কা, ২০১৬ সালে মালদ্বীপ এবং ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বাৎসরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এবার বাংলাদেশে দু’দিনব্যাপী নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন