জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মানুষ কখন আবোল তাবোল বকে? যখন মাথা খারাপ হয়ে যায়। আজ ওবায়দুল কাদের ও তার দলের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। যে কারণে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জাতীয় ঐক্যবিরোধী কথাবার্তা বলছেন।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আয়োজনে ‘ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অবসান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিবাদ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আলীগ ছাড়া কিসের জাতীয় ঐক্য? আমি বলি গণতন্ত্র যারা বাক্সবন্দি করেছে, তাদের নিয়ে কি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ঐক্য সম্ভব? যে কারণে জাতীয় ঐক্যে আওয়ামী লীগ থাকার সুযোগ নেই। বরং এ ঐক্য তাদের বিরুদ্ধেই।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া মানসিকভাবে শক্তিশালী। তার মানসিক শক্তি খর্ব করতে না পেরে শারীরিকভাবে দুর্বল করার চক্রান্ত চলছে। দলীয় নেতা ও পরিবারের সাথে দেখাও করতে দেয়া হচ্ছে না।’
খালেদা জিয়ার উপযুক্ত চিকিৎসা প্রয়োজন জানিয়ে মোশাররফ বলেন, ‘আদালতে সুস্থ মানুষের বিচার করতে হয়, অসুস্থের নয়। তিনি নিজের শুনানি নিজে যদি শুনতে না পারেন তাহলে কীভাবে বিচার হয়? সরকার ষড়যন্ত্র করছে। তার শারীরিক অসুস্থতা আরও গুরুতর করতেই ষড়যন্ত্র চলছে।’
খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ১১তম নির্বাচনের বাইরে রাখতেই সব ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘ভোটবিহীন সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। একটি অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বাকশালী সরকারের অবসান চান। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়।’
খন্দকার মোশাররফের মতে, জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি সকল দলের মধ্যে নীতিগত ঐক্য গঠিত হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই সরকারকে হটানো হবে।’
কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এটা প্রকাশ্য বিচার নয়। সিআরপিসির (ফৌজদারি কার্যবিধি) বিধান অনুযায়ী বিচার হতে হবে উন্মুক্ত। তারা আইনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কথা বলেন না। প্রধানমন্ত্রী বললেন, কারাগারের গেট নাকি খোলা। আবার জিয়াউর রহমান নাকি কারাগারেই আদালত বসিয়ে বিচার করেছিলেন। কত বড় মিথ্যাচার!’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়, তবে আওয়ামী লীগ ৩০ আসনের বেশি পাবে না। গোয়েন্দা রিপোর্ট পাবার পর সরকারের মাথা খারাপ হয়েছে। সরকার আতঙ্কে। যে কারণে মামলা দিয়ে চলেছে।’
নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান।
তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের জাল আজ এতটাই বিস্তৃত যে, ভোটবিহীন সরকার দেশের জনপ্রিয় নেত্রী, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দিতে প্রহসন করছে, কারাগারেই আদালত বসানো হয়েছে।’
আলোচনা সভায় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন, কল্যাণপার্টির নেতা সাহিদুর রহমান তামান্না, শাহাজান মিয়া সম্রাট, গাউছুর রহমান।